দক্ষিণ চট্টগ্রামের ২০ রুটে বাস ধর্মঘট চলছে, দুর্ভোগে যাত্রীরা

দক্ষিণ চট্টগ্রামের ২০ রুটে বাস ধর্মঘট চলছে, দুর্ভোগে যাত্রীরা

কক্সবাজার-বান্দরবানসহ দক্ষিণ চট্টগ্রামের ২০ রুটে এবার ১২ ঘণ্টার বাস ধর্মঘট চলছে। মহাসড়কে রুট পারমিটবিহীন যান ও দ্বিতল বাস চলাচল বন্ধসহ বিভিন্ন দাবিতে চট্টগ্রাম দক্ষিণাঞ্চল বান্দরবান-কক্সবাজার জেলা সড়ক পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ ওই কর্মসূচি দিয়েছে। এতে দক্ষিণ চট্টগ্রামের বিভিন্ন গন্তব্যের যাত্রীরা আটকা পড়েছেন। যাত্রীরা বাস টার্মিনালে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষাসহ নানা দুর্ভোগে পড়েছেন।

বুধবার (১৮ অক্টোবর) ভোর ৬টা থেকে শুরু হওয়া ওই ধর্মঘট সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চলবে বলে ঐক্য পরিষদ জানিয়েছে। বাস চলাচল বন্ধ থাকায় যথারীতি ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সাধারণ যাত্রীদের।

একই দাবিতে গত ৯ অক্টোবর দুই ঘণ্টা বাস চলাচল বন্ধ রেখে বিক্ষোভ করেছিলেন শ্রমিকরা। দাবি মানতে এক সপ্তাহের আলটিমেটাম দেয়া হয়েছিল। এরপর মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) রাত ১১টার দিকে ১২ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘটের কথা ঐক্য পরিষদের পক্ষ থেকে জানানো হয়।

পূর্বাঞ্চলীয় সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি মৃণাল চৌধুরী বলেন, ‘তিনমাস ধরে দাবি মানতে আমরা মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের পক্ষ থেকে প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ে অনেক আবেদন-নিবেদন করেছি। সর্বশেষ আমরা দুই ঘণ্টার প্রতীকী ধর্মঘটও করেছি। কিন্তু আমরা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে ব্যর্থ হয়েছি। এজন্য মালিকরাও ১২ ঘণ্টা বাস না চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আমরা শ্রমিকরাও ঐক্যবদ্ধভাবে কর্মসূচিতে শামিল হয়েছি।’

ঐক্য পরিষদের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ মুছা জানিয়েছেন, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার-টেকনাফ-বান্দরবান সড়ক, বাঁশখালী পিএবি ও আনোয়ারা-বরকল সড়কসহ চট্টগ্রাম দক্ষিণাঞ্চলের ৩ জেলা ও উপজেলার ২০ রুটে বাস চলাচল বন্ধ আছে।

ঐক্য পরিষদের বিভিন্ন দাবির মধ্যে আছে, সড়ক ও উপসড়কে দুর্ঘটনা প্রতিরোধ, সড়কে শৃঙ্খলা আনা, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার-টেকনাফ অপ্রশস্ত সড়কে স্লিপার কোচ নাম দিয়ে দ্বিতল বাস চালানো নিষিদ্ধ করা।

দাবির মধ্যে আরও আছে, বহিরাগত এসি, নন এসি বাস রুট পারমিটের শর্ত ভঙ্গ করে লোকাল রুটের যাত্রী বহনের কারণে গাড়িতে গাড়িতে অসম প্রতিযোগিতা বন্ধ করা, সড়ক-মহাসড়ক-উপসড়কের দুর্ঘটনা ও প্রাণহানির জন্য দায়ী ইজিবাইক, ব্যাটারিচালিত রিকশা, টমটম ও অবৈধ থ্রি হুইলার সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলাচল নিষিদ্ধ করা, হাইওয়ের আইন মোতাবেক রাস্তার উভয় পাশের অবৈধ স্থাপনাসহ হাট-বাজার সরিয়ে নেয়া, একই দেশে ঢাকা ও চট্টগ্রামে একই ট্রাফিক আইনে দ্বিগুণ জরিমানার বৈষম্য দূরীকরণ, চট্টগ্রাম বহদ্দারহাট আঞ্চলিক বাস টার্মিনাল সংস্কার ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ, খোলা ট্রাকে লবণ পরিবহন নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন, রিকুইজিশনের মাধ্যমে ২ জেলায় রুট পারমিটধারী বাস মিনিবাস কোচ গাড়ি দেশের প্রত্যন্ত এলাকা ও উপজেলায় পাঠানোর নামে রিকুইজিশন বাণিজ্য বন্ধ, কক্সবাজার পৌর বাস টার্মিনালে ময়লা-আবর্জনার স্তূপ অবিলম্বে পরিষ্কার করা।