মিরপুরে পোশাকশ্রমিক-আওয়ামী লীগ-পুলিশ ত্রিমুখী সংঘর্ষ, ব্যাপক ভাঙচুর

মিরপুরে পোশাকশ্রমিক-আওয়ামী লীগ-পুলিশ ত্রিমুখী সংঘর্ষ, ব্যাপক ভাঙচুর

রাজধানীর মিরপুরে একটি পোশাক কারখানার আন্দোলনরত কর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছে আওয়ামী লীগ। এতে বেশ কয়েকজন পোশাককর্মী আহত হন। এরপরই পোশাককর্মীরা পোশাক কারখানায় হামলা চালান এবং গলি থেকে বের হয়ে মূল সড়কে অবস্থান নেন। পরে পুলিশ উভয় পক্ষকে নিবৃত করতে গেলে ত্রিমুখী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে ১৫টি বাস, ২টি মার্কেট, একটি ব্যাংকের শাখা ও ২টি পোশাক কারখানায় ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।

মঙ্গলবার বেলা ১২টা থেকে এ সংঘর্ষ শুরু হয় বলে জানা গেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বেতন বৃদ্ধির দাবিতে গার্মেন্টস শ্রমিকরা বেশ কয়েকদিন ধরে আন্দোলন করছে। মিরপুর-১১ তে আজ আন্দোলনরত শ্রমিকদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা কর্মীদের সংঘর্ষ হয়। দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলাকালীন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ রাস্তায় নামে। পরবর্তী সময়ে তিন পক্ষের মধ্যেই সংঘর্ষ বেঁধে যায়।

পল্লবী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মেজবাহ উদ্দিন বলেন, বেতন বাড়ানোর দাবিতে আন্দোলনরত শ্রমিকদের ওপর হামলা হওয়ার পর তারা রাস্তায় নেমে এসেছেন। ডিএমপির মিরপুর বিভাগের পল্লবী জোনের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) নাজমুল বলেন, বেতন বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলনরত গার্মেন্টস শ্রমিকদের সঙ্গে প্রথমে স্থানীয় আওয়ামী লীগের লোকজনের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ও পিকেটিংয়ের ঘটনা ঘটে।

পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিশও মাঠে নামে। শ্রমিকরা এখন রাস্তায় আছে, স্থানীয় সংসদ সদস্য এসেছেন বিষয়টি সুরাহা করার জন্য।

ইপিলিয়ন কারখানার শ্রমিক চম্পা খাতুনবলেন, সকালে বেতন বাড়ানোর বিষয় নিয়ে ইপিলিয়ন গ্রুপের প্রশাসনের সঙ্গে তাঁরা কথা বলছিলেন। এ সময় তাদের ওপর হামলা হয়। তাদের অনেকেই আহত হয়েছেন।