আজ দ্বিতীয় দিনের মতো অবরোধ চলছে

আজ দ্বিতীয় দিনের মতো অবরোধ চলছে

বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর ডাকা অবরোধের দ্বিতীয় দিন চলছে আজ বুধবার। রাজধানীর রাস্তাগুলো বেশ ফাঁকা দেখা যাচ্ছে। দূরপাল্লার বাসও ছাড়ছে না। প্রথম দিনে গতকাল ঢাকা থেকে সারা দেশের যোগাযোগব্যবস্থা প্রায় বিচ্ছিন্ন ছিল। ঢাকা থেকে দূরপাল্লার বাস ও লঞ্চ ছেড়ে যায়নি। ট্রেন চলাচল করলেও যাত্রী সংখ্যা স্বাভাবিকের চেয়ে কম বলে জানা গেছে।

আজ সকাল থেকেই দেশের বিভিন্ন স্থানে বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীরা বিভিন্ন স্থানে অবরোধ কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছে।

গত ২৮ অক্টোবর ঢাকার নয়াপল্টনের মহাসমাবেশে পুলিশি হামলা, দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের প্রতিবাদ ও সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে এই কর্মসূচির ডাক দেয় বিএনপি। পরে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীও তিন দিনের অবরোধের কথা ঘোষণা করে। এছাড়া গণতন্ত্র মঞ্চ, ১২ দলীয় জোট, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, এলডিপি, গণফোরাম-পিপলস পার্টি, গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য, গণ অধিকার পরিষদ, লেবার পার্টি, এনডিএমসহ সরকার পদত্যাগের যুগপৎ আন্দোলনের সাথে যুক্ত দলগুলো অবরোধ কর্মসূচি করে।

গতকাল অবরোধের প্রথম দিনে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে বিএনপি-জামায়াত নেতাকর্মীদের মিছিল, অবস্থান ও সংঘর্ষের কারণে আতঙ্কে সাধারণ মানুষের চলাচল ছিল খুবই কম। একান্ত প্রয়োজন ছাড়া মানুষ বাসার বাইরে বের হয়নি। জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে একটি বাসে আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটে। পল্টনে দুপুরে আল রাজী কমপ্লেক্সে সরকারপন্থীদের একটি অংশ হামলা-ভাঙচুর করে ব্যাপক ক্ষতিসাধন করে। সকালে মাতুয়াইল ও চাঁনখার পুলে বিএনপির নেতাকর্মীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষে অনেক নেতাকর্মী ও পুলিশ সদস্য আহত হয়। সেখান থেকে অর্ধশতাধিক নেতাকর্মীকে আটক করে পুলিশ। ভোরে গাবতলীতে অবরোধ কর্মসূচিতে যাওয়ার পথে টেকনিক্যাল মোড় থেকে জামায়াতের মিরপুর থানা আমির আব্দুল মান্নান ভুঁইয়াসহ দুইজনকে আটক করে পুলিশ। অপর দিকে যুবলীগ-ছাত্রলীগের হামলায় শিবিরের তিন কর্মী আহত হয়। পরে তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেয়।

অবরোধে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবিসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক অবস্থানে ছিল। আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরাও বিভিন্ন এলাকায় দলীয় কার্যালয় ও মোড়ে মোড়ে লাঠি হাতে অবস্থান নেয়।