পুলিশের ওপর ককটেল ছুড়েছেন ‘মৃত শিক্ষা কর্মকর্তা’

পুলিশের ওপর ককটেল ছুড়েছেন ‘মৃত শিক্ষা কর্মকর্তা’

গাজীপুরের কাপাসিয়ার আমিন উদ্দিন মোল্লা ছিলেন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা। গত ২৯ অক্টোবর থানায় হওয়া একটি নাশকতার মামলায় তাকে ১৮ নম্বর আসামি করা হয়েছে। এজাহারে বলা হয়েছে, পুলিশকে লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপকারীদের একজন এই আমিন উদ্দিন। তবে স্বজন ও বিএনপির স্থানীয় নেতারা বলছেন, পুলিশ মিথ্যা মামলার আরেকটি উদাহরণ সৃষ্টি করেছে।

আমিন উদ্দিন মোল্লার জামাতা মোজাম্মেল হক বলেছেন, তার শ্বশুর ২০২১ সালের ২৫ জানুয়ারি মারা গেছেন। চাকরি থেকে অবসর গ্রহণের পর তিনি জামায়াতের রাজনীতি করতেন।

আজ শুক্রবার সকালে মোজ্জাম্মেল বলেন, ‘কবর থেকে কেউ কীভাবে ককটেল মারলেন সেটাই তো বুঝতে পারছি না। মৃত ব্যক্তিকে আসামি করা দুঃখজনক।

আমিন উদ্দিনের চাকরি ও রাজনৈতিক জীবন নিয়ে মোজাম্মেলের দেওয়া তথ্য স্বাধীনভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি। তিনি উপজেলার ঘাগুটিয়া ইউনিয়নের খিরাটি গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। গত রবিবার তার বিরুদ্ধে কাপাসিয়া থানায় হওয়া মামলাটির বাদি উপপরিদর্শক (এসআই) মো. সালাউদ্দিন। মামলায় মোট ২২ জনকে আসামি করা হয়েছে।

এজাহারে বাদি উল্লেখ করেছেন, গত ২৯ অক্টোবর সন্ধ্যায় কাপাসিয়ার তরগাঁও এলাকার মেডিক্যাল মোড়ে বিএনপি ও জামায়াতের নেতা-কর্মীরা অস্থিতিশীল ও অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য সংঘবদ্ধ হন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে একটি ককটেল বিস্ফোরণ করে পালিয়ে যান। ঘটনাস্থল থেকে তাদের ফেলে যাওয়া অবিস্ফোরিত চারটি ও বিস্ফোরিত একটি ককটেল ও চারটি পেট্রোল বোমা উদ্ধার উদ্ধার করে পুলিশ।

স্বজনদের ভাষ্য, আমিন উদ্দিন ৬৫ বছর বয়সে মারা যান। তবে মামলার এজাহারে তার বয়স ৪৫ বছর উল্লেখ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে কাপাসিয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর মিয়া বলেন, ‘তিনি (আমিন) মৃত হলে তদন্ত কর্মকর্তা যাচাই-বাছাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।’ আর জেলা পুলিশ সুপার কাজী শফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘খোঁজখবর নিয়ে বিষয়টি দেখা হবে।’

গাজীপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহ্ রিয়াজুল হান্নান রিয়াজ বলেন, ‘মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলার এটি আরেকটি উদাহরণ। গোপনে এসব মামলা করে নেতা-কর্মীদের বাড়ি বাড়ি হানা দিচ্ছে পুলিশ। অভিযান চালানো হচ্ছে। অনেককে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।’

শাহ্ রিয়াজুল আরো বলেন, ‘মামলা ও গ্রেপ্তার করে নেতা-কর্মীদের মনোবল ভাঙা যাবে না।’