প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রীর বিদেশ সফরের খরচ ২৫০ কোটি টাকা

প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রীর বিদেশ সফরের খরচ ২৫০ কোটি টাকা

বাংলাদেশের অর্থনীতির এখন নুন আনতে পান্তা ফুরায় অবস্থা। মূল্যস্ফীতি আর নিত্য পণ্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতিতে সাধারণ মানুষেরা এখন পিষ্ট। এছাড়া নতুন টাকা ছাপিয়ে চলছে ব্যাংক বাঁচানোর চেষ্টা। অর্থনীতির এরকম সর্বনাশা পরিস্থিতিতেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনের বিদেশ সফরের খরচ দ্বিগুণ করার আবদার করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

ভিভিআইপিদের বিদেশ সফরের জন্য চলতি অর্থ বছরে বাজেটে ২৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ বরাদ্দ চেয়ে ইতিমধ্যে অর্থ মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। অথচ এর আগে বিদেশ সফরের জন্য বাজেটে বরাদ্দ করা হয়েছিলো ১২৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৯৭.২৮ কোটি টাকা খরচ হয়ে গেছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

আগের বেশকিছু বিদেশ সফরের বকেয়া বিমান ভাড়া পরিশোধ এবং এই বছর প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর সম্ভাব্য ছয়টি বিদেশ সফরের খরচ মেটাতে বরাদ্দকৃত বাজেট দ্বিগুণ করতে অর্থ মন্ত্রলায়কে এই চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে। নির্বাচনের পরে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে কূটনৈতিক তৎপরতা বাড়াতে সফরের বাজেট বরাদ্দ বাড়ানোর এই তোরজোড়।

২০ ডিসেম্বর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বাজেট ডিপার্টমেন্ট থেকে পাঠানো এই চিঠিতে দ্বিগুণ বাজেট বরাদ্দের বাইরে আরও ৪ কোটি টাকা বেশী চাওয়া হয়েছে। সরকারের আমন্ত্রণে বাইরের দেশের যেসব রাষ্ট্রপ্রধানরা বাংলাদেশ সফর করতে আসবেন তাদের আতিথেয়তার জন্য খরচ হবে এই টাকা।

প্রেসিডেন্ট এ বছর সিঙ্গাপুর এবং ইন্দোনেশিয়া সফর করবেন, এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, বেলজিয়াম, সুইজারল্যান্ড, ইতালি, ভারত এবং দক্ষিণ আফ্রিকা সফর করবেন।

বাজেটের বরাদ্দকৃত টাকার বিভিন্ন খরচের মধ্যে রয়েছে-- বিমান ভাড়া, থাকার ব্যবস্থা, গাড়ি, মোবাইল সিম কার্ড, আনুষঙ্গিক ব্যয় এবং সফরসঙ্গীদের ভাতা।

সংশোধিত বাজেট বরাদ্দের জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, ভিআইপি ফ্লাইটসহ মোট ১৪ টি ফ্লাইটের ভাড়া বাবদ বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের কাছে ৮৬.৬৫ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের।

চিঠিতে বলা হয়েছে, বকেয়া খরচের বাইরে নির্বাচন পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক বাড়াতে প্রেসিডেন্ট এবং প্রধানমন্ত্রী ৬ টি সফর করতে পারেন। এজন্য খরচ ধরা হয়েছে ৬৫ কোটি টাকা। এই কাজে আনুষঙ্গিক ব্যয়ের বিষয় বিবেচনা করে ২৫০ কোটি টাকার বাজেট বরাদ্দ প্রয়োজন। মূল বাজেটে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিলো ১২৫ কোটি টাকা।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অর্থ বিভাগকে বলেছে যে, জমি অধিগ্রহণের জন্য চলতি অর্থ বছরে যে ১২৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে সেখান থেকে ১০০ কোটি টাকা যেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাজে বরাদ্দ দেওয়া হয়।