জয়পুরহাট জেলায় আজ শনিবারও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল শুক্রবার তাপমাত্রা রেকর্ড ছিল ৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বদলগাছী আবহাওয়া অফিস এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
এদিকে গত সাত দিন ধরে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে থাকায় জেলার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
স্থানীয় বদলগাছী আবহাওয়া অফিসের উচ্চ বের্যবেক্ষক হামিদুল হক আজ শনিবার সকালে জানান, শনিবার সকাল ৭টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তিনি বলেন, গত সাত দিন ধরে জয়পুরহাট ও আশপাশের এলাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭ থেকে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস উঠা নামা করছে। বদলগাছি আবহাওয়া অফিস জয়পুরহাটের কাছাকাছি এলাকা এ জন্য বদলগাছীর রেকর্ড জয়পুরহাটেও ধরা হয়ে থাকে। এ বছরে এ প্রথম জয়পুরহাটে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭.৫ ও ৭.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হলো। ঘন কুয়াশার সাথে শৈত্যপ্রবাহে মাঘের হাড় কাঁপানো শীতে জনজীবন একেবারেই বিপর্যস্ত ও জবুথবু হয়ে পড়েছে মানুষ। কনকনে ঠান্ডা আর হাড় কাঁপানো শীতে শিশু থেকে বৃদ্ধ সবার নাজেহাল অবস্থা।
বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ছিন্নমূল খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষের জন্য জেলা প্রশাসন, পৌরসভা, উপজেলা পরিষদ ও বিভিন্ন সামাজিক প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে শীতবস্ত্র বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
জেলার উপর দিয়ে বয়ে চলা শৈত্যপ্রবাহের ফলে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে থাকায় সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী জেলার সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে বলে জানান, জেলা শিক্ষা অফিসার মো: আমান উদ্দিন মন্ডল।
