ড. ইউনূসের বিষয়ে সরকার কিংবা পুলিশ হস্তক্ষেপ করছে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

ড. ইউনূসের বিষয়ে সরকার কিংবা পুলিশ হস্তক্ষেপ করছে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতিষ্ঠান জবরদখল ও পুলিশের কাছে প্রতিকার চেয়েও না পাওয়ার অভিযোগ প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ‘আইনের বাইরে আমরা কিছু করছি না। ড. ইউনূসের বিষয়টি সম্পূর্ণ আদালতের ব্যাপার। আদালতের নির্দেশনা যেভাবে আসছে, সেভাবে কাজ হচ্ছে। এর বাইরে সরকার কিংবা পুলিশ কেউ কিছু করছে না।’

শুক্রবার বিকালে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন তিনি। এর আগে পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

মিয়ানমারের সরকারি বাহিনীর পরিত্যক্ত অস্ত্র রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী গ্রুপের হাতে আসছে– এ ব্যাপারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আরাকান আর্মির কয়েকজন হয়তো দুই-চারটা পরিত্যক্ত অস্ত্র নিয়ে এসেছিল। তাদের অন্য কোনো উদ্দেশ্য থাকতে পারে। তারা সবাই ধরা পড়েছে। বিজিবি তাদের আটক করেছে। আপনারা নিশ্চিন্ত থাকতে পারেন, বিজিবি কঠোর অবস্থানে রয়েছে। কেউ অস্ত্র নিয়ে এখানে ঢোকার সেই অবস্থা নেই। আমরা সজাগ রয়েছি।’ 

মিয়ানমার থেকে ছোড়া মর্টার শেলে দু’জন নিহত প্রসঙ্গে বাংলাদেশের অবস্থান ব্যাখ্যা করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, “বঙ্গবন্ধুর একটিই কথা ছিল– ‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়।’ আমরা সেই নীতি অবলম্বন করছি। তারা যতই গোলাগুলি করুক, আমরা প্রতিবাদ করছি। বিজিবির জনবল বাড়িয়েছি। কোস্টগার্ড, নেভি ও পুলিশ সজাগ রয়েছে। কাজেই ওখান থেকে কেউ এখানে আসবে, সেটি হবে না।”

জামিনের পর বিএনপি নেতাদের ‘ভোটের অধিকার আদায়ের’ আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, “তারা আগেও ‘সরকার পতন হয়ে যাচ্ছে’ এবং ‘খালেদা জিয়া যা বলবে তাই হবে’ এসব কথা বলেছিল। এ দেশের মানুষ এসব কথা শুনে হাসছিল। জনগণ তাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। বিএনপি সুনিশ্চিতভাবে বুঝে গেছে, বিদেশি প্রভুরা হস্তক্ষেপ করতে না পারলে তারা নির্বাচনে জিতবে না। এজন্য এবারও তারা নির্বাচনে আসেনি।”

এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দলের সিদ্ধান্ত হয়েছে, জাতীয় নির্বাচন ছাড়া অন্য নির্বাচনে নৌকা প্রতীক আর ব্যবহার করব না। জনপ্রিয় লোকগুলো নির্বাচনে আসুক, আমরা চাই।’

এ সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন সংসদ সদস্য মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি নুরে আলম মিনা ও পুলিশ সুপার এস এম শফিউল্লাহ।