মাদক, সন্ত্রাস ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে কাজ করুন: প্রধানমন্ত্রী

মাদক, সন্ত্রাস ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে কাজ করুন: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে এগিয়ে নিতে মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গড়ার দিকে বিশেষ নজর দিতে স্থানীয় সরকার প্রতিনিধিদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘মাদক থেকে দুর্নীতি, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস সৃষ্টি হয়। আমাদের সমাজ এর থেকে মুক্তি লাভ করুক। আমরা চাই যে জনপ্রতিনিধিরা জনগণের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করতে এবং দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য বিশেষ যত্নবান হবেন।’

প্রধানমন্ত্রী রবিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় আয়োজিত স্থানীয় সরকার দিবস-২০২৪’ উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এ কথা বলেন।

স্থানীয় সরকার প্রতিনিধিদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০০৯ সাল থেকে আমরা সরকারে আছি। আজ বাংলাদেশের একটি ধাপ উত্তরণ ঘটেছে, বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। এটা যেন পিছিয়ে না যায়। সেদিকে লক্ষ রেখেই আপনাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব এবং জনসেবা আপনারা করে যাবেন। আমরা যেন দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘সবচেয়ে বড় কথা সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, দুর্নীতি ও মাদকমুক্ত করে সমাজকে গড়ে তুলতে হবে। সেদিকে আপনাদের বিশেষভাবে দৃষ্টি দিতে হবে। কারণ, এই মাদকের একটি বিরূপ প্রভাব রয়েছে। এ থেকেই আবার দুর্নীতি, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস সৃষ্টি হয়। এগুলো থেকে যেন আমাদের সমাজ রক্ষা পায়, সেদিকে বিশেষ যত্নবান হয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করে আপনারা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন, সেটাই আমরা চাই।’

সরকারপ্রধান বলেন, ‘আমি মনে করি আগামী দিনে স্থানীয় সরকারব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে হবে। একটা রাষ্ট্রের সার্বিক উন্নয়নে সবচেয়ে বেশি দায়িত্ব পালন করবে স্থানীয় সরকার। কাজেই স্থানীয় সরকার হবে সবচেয়ে শক্তিশালী।’ তিনি বলেন, ‘কেন্দ্র থেকে আমরা ব্যবস্থা করে দেব, কিন্তু স্থানীয় সরকার স্থানীয়ভাবেই দেশের উন্নয়ন করবে এবং জাতির পিতার স্বপ্ন পূরণ করবে। জাতির পিতা যে স্বল্পোন্নত দেশ রেখে গিয়েছিলেন, সেখান থেকে আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। এই উন্নয়নশীল দেশ হিসেবেই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। কারও কাছে মাথা নিচু করে নয়, মাথা উঁচু করে আমরা চলব। আমরা দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলব।’

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য দেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহম্মদ ইবরাহিম। অনুষ্ঠানে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র আবুল খায়ের আবদুল্লাহ, শরীয়তপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাবেদুর রহমান খোকা শিকদার, রাজশাহীর বাঘা উপজেলার চেয়ারম্যান লায়েব উদ্দিন আহমেদ লাবলু, পঞ্চগড় পৌরসভার মেয়র জাকিয়া খাতুন, সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার জগদল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ুন রশিদ প্রমুখ বক্তব্য দেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার চলে জনগণের পয়সায়। অর্থ জনগণের, সেটা মাথায় রাখতে হবে। সরকার কাজটা করে দেয়, কিন্তু জিনিসটা তো জনগণের। শেখ হাসিনা বলেন, যারা স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, তাদেরই কিন্তু জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে হয়। সরকারপ্রধান বলেন, জনগণের প্রতিনিধিদের জন্য সব থেকে বড় কথা হলো জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করা। সেটা যিনি করতে পারেন, তার কোনো অসুবিধা হয় না। আর সেটা যে করতে না পারেন, তাকে তো ব্যর্থ হতে হয়, ফেল করতে হয়, এটাই তো বাস্তবতা। সেটা মাথায় রেখেই নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকার জনগণের প্রতি তাদের জনপ্রতিনিধিদের লক্ষ রাখার আহ্বান জানান তিনি।