কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের উপনির্বাচনে ভোটকেন্দ্রের বাইরে দুই পক্ষের গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে একজন গুলিবিদ্ধ ও দুইজন আহত হয়েছেন। এছাড়া ভোটকেন্দ্র থেকে আওয়ামী লীগ সমর্থিত বাস প্রতীকের সমর্থকেরা টেবিল ঘড়ি ও ঘোড়া প্রতীকের পোলিং এজেন্টদের বের করে দিয়েছেন বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শনিবার ভোটগ্রহণ চলাকালে ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের মুন্সি এম আলী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। নিজে ভোট দেয়ার পর ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী নিজাম উদ্দিন কায়সার অভিযোগ করেন, ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে মুন্সি এম আলী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে গোলাগুলি হয়েছে। তার এক কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
এর আগে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনে মেয়র পদের উপনির্বাচনে ভোটারদের ভয়ভীতি দেখিয়ে কেন্দ্রে আসতে বাধা দেয়ার অভিযোগ উঠে। সেই সঙ্গে বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে এজেন্ট বের করে দেয়ার অভিযোগ করেছেন প্রার্থীরা। সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরুর পর এমন অভিযোগ করেন তারা।
অন্যদিকে, ভোটগ্রহণ শুরুর পর সকালেই কুমিল্লা হাইস্কুল কেন্দ্রে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
উপ নির্বাচনে সকালে কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি কম দেখা গেছে। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। সকাল ৮টায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ শুরু হয়। ভোট চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।
এই উপনির্বাচনে ৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এবার দলীয় কোনো প্রতীক না থাকায় সরকার দলীয় দুইজন এবং বিএনপির বহিস্কৃত দুই নেতা মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাদের মধ্যে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দীন বাহারের মেয়ে মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. তাহসিন বাহার সূচনা বাস প্রতীকে, মহানগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা নূর উর রহমান মাহমুদ তানিম হাতি প্রতীকে, বিএনপির আজীবন বহিস্কৃত নেতা, সাবেক দুইবারের মেয়র মনিরুল হক সাক্কু টেবিল ঘড়ি প্রতীকে এবং বিএনপির আরেক বহিস্কৃত নেতা নিজাম উদ্দিন কায়সার ঘোড়া প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এই সিটিতে ২ লাখ ৪২ হাজার ৪৫৮ জন ভোটার ১০৫টি কেন্দ্রে ভোট দেয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। এর মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ১৮ হাজার ১৮২ জন, নারী ১ লাখ ২৪ হাজার ২৭৪ জন ও হিজড়া দুইজন।