জলদস্যুদের সঙ্গে অন্য পক্ষের মাধ্যমে যোগাযোগ হচ্ছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

জলদস্যুদের সঙ্গে অন্য পক্ষের মাধ্যমে যোগাযোগ হচ্ছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ভারত মহাসাগরে জলদস্যুদের কবলে পড়া জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ও নাবিকদের বিপদমুক্ত করাই এখন মূল লক্ষ্য বলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন। তিনি বলেন, এখনো জলদস্যুদের সঙ্গে কোনো আনুষ্ঠানিক যোগাযোগ হয়নি, অন্য পক্ষের মাধ্যমে যোগাযোগ হচ্ছে। গোয়েন্দা সংস্থাগুলো তৎপর রয়েছে।

বুধবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সিনেট ভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন হাছান মাহমুদ।

হাছান মাহমুদ বলেন, নাবিকদের বিপদমুক্ত করার লক্ষ্যে ইতিমধ্যে কুয়ালালামপুরে পাইরেসি রিপোর্টিং সেন্টার, নয়াদিল্লিতে ইন্ডিয়ান ফিউশন সেন্টার, যুক্তরাজ্য মেরিটাইম ট্রেড অপারেশন (ইউকেএমটিও) এবং এশিয়ায় দস্যুতা ও সশস্ত্র ডাকাতি প্রতিরোধে আঞ্চলিক সহযোগিতা চুক্তির আওতায় সিঙ্গাপুরে অবস্থিত দপ্তরকে খবর দেওয়া হয়েছে।

এ ছাড়া ওই অঞ্চলে চলাচলরত যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, ভারত ও চীনের জাহাজগুলোকেও বাংলাদেশের জাহাজটির অবস্থা সম্পর্কে জানানো হয়েছে বলেও জানিয়েছেন হাছান মাহমুদ।

হাছান মাহমুদ বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে অত্যন্ত কনসার্ন এবং মন্ত্রিপরিষদ সভায় এটি অনানুষ্ঠানিকভাবে আলোচিত হয়েছে।

আরেক প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ আরও বলেন, এর আগেও একই কোম্পানির একটি জাহাজ জলদস্যুরা নিয়ন্ত্রণে নিয়েছিল। তিন মাস পর সেই জাহাজ এবং ক্রুদের উদ্ধার করা হয়েছিল।

গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় বেলা দেড়টার দিকে ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ার জলদস্যুরা জাহাজটির নিয়ন্ত্রণ নেয়। জাহাজটি মোজাম্বিক থেকে দুবাই যাচ্ছিল।

জলদস্যুদের কবলে পড়া চট্টগ্রামের কবির গ্রুপের জাহাজটি পরিচালনা করছে গ্রুপটির সহযোগী সংস্থা এস আর শিপিং লিমিটেড। জাহাজে ২৩ বাংলাদেশি নাবিক রয়েছেন। জিম্মির খবর পাওয়ার পর থেকে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় দিন কাটছে তাঁদের স্বজনদের।

এর আগে আন্তর্জাতিক নারী দিবস ২০২৪ উপলক্ষে ঢাবি সিনেট ভবন মিলনায়তনে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা সেন্টার ফর জেন্ডার অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন হাছান মাহমুদ। এ সময় তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার সরকার বস্তুগত উন্নয়নের পাশাপাশি জাতির আত্মিক উন্নয়নে নিবেদিত। আর এ জন্য নারীর আত্মিক উন্নয়ন যেমন প্রয়োজন, তেমনি অর্থনৈতিক, কারিগরি, ডিজিটাল উন্নয়নও প্রয়োজন।

ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামালের সভাপতিত্বে বাংলাদেশ অ্যালায়েন্স ফর উইমেন লিডারশিপের প্রেসিডেন্ট নাসিম ফিরদাউস অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের মহাপরিচালক বিনায়ক সেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ অনুষদের ডিন অধ্যাপক জিয়া রহমান প্রমুখ সেমিনারে বক্তব্য দেন।