ব্যারিস্টার কাজলের জামিন নামঞ্জুর

ব্যারিস্টার কাজলের জামিন নামঞ্জুর

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে ভোট গণনাকে কেন্দ্র করে হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনায় করা মামলায় বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের নীল প্যানেলের সম্পাদক প্রার্থী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজলের জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।

ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মোরশেদ আলমের আদালতে সোমবার তার জামিন চেয়ে আবেদন করেন তার আইনজীবীরা। এদিন শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুর করে আদেশ দেন আদালত।

এর আগে মহানগর জজ আদালতে তার জামিন চেয়ে আবেদন করেন তার আইনজীবীরা। পরে আদালত ষষ্ঠ অতিরিক্ত আদালতে জামিন শুনানি করার আদেশ দিয়েছিলেন।

রুহুল কুদ্দুস কাজলের আইনজীবী ও ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. ওমর ফারুক ফারুকী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে ১০ মার্চ তাকে সাত দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন ডিবি পুলিশের পরিদর্শক আবুল কালাম আজাদ। শুনানি শেষে আদালত তার চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড শেষে ১৪ মার্চ আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

গত ৯ মার্চ সন্ধ্যায় রাজধানীর পল্টনের তোপখানা রোডে নিজ চেম্বার থেকে কাজলকে আটক করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। পরে শাহবাগ থানায় হস্তান্তর করলে তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়।

এর আগে নির্বাচনে মারধরের ঘটনায় ৯ মার্চ পাঁচ আইনজীবীকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাদের পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আলী হায়দার তাদের প্রত্যেকের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

রিমান্ড যাদের মঞ্জুর করা হয়েছে তারা হলেন-অ্যাডভোকেট কাজী বশির আহমেদ, অ্যাডভোকেট তুষার, অ্যাডভোকেট তরিকুল, অ্যাডভোকেট এনামুল হক সুমন ও ব্যারিস্টার ওসমান চৌধুরী।

সুপ্রিম কোর্ট বার নির্বাচনের ভোট গণনাকে কেন্দ্র করে হট্টগোল, হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনায় ২০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৩০-৪০ জনের বিরুদ্ধে ৮ মার্চ রাতে সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুর রহমান চৌধুরী সাইফ বাদী হয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে এ মামলা করেন।

মামলায় সুপ্রিম কোর্ট বারের নির্বাচনে সম্পাদক পদে স্বতন্ত্র ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথি, বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত নীল প্যানেলের সম্পাদক প্রার্থী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজলসহ ২০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

প্রধান আসামি অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথি যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের স্ত্রী বলে উল্লেখ করা হয়েছে। মামলায় ভোট গণনা ছাড়াই জোর করে সম্পাদক পদের ফলাফল ঘোষণা, একটি আইফোন, পকেট থেকে ১৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেওয়া এবং রড, লাঠি ও চেয়ার দিয়ে হামলার অভিযোগ করা হয়েছে।

মামলায় অন্য আসামিরা হলেন- অ্যাডভোকেট মো. জাকির হোসেন ওরফে মাসুদ (৫৫), অ্যাডভোকেট শাকিলা রৌশন, অ্যাডভোকেট কাজী বশির আহম্মেদ, ব্যারিস্টার ওসমান, অ্যাডভোকেট আরিফ, অ্যাডভোকেট সুমন, অ্যাডভোকেট তুষার, রবিউল, ব্যারিস্টার চৌধুরী মৌসুমী ফাতেমা (কবিতা), সাইদুর রহমান জুয়েল (৪০), অলিউর, যুবলীগ নেতা জয়দেব নন্দী, মাইন উদ্দিন রানা, মশিউর রহমান সুমন, কামাল হোসেন, আসলাম রাইয়ান, অ্যাডভোকেট তরিকুল ও অ্যাডভোকেট সোহাগ।