মিয়ানমারে বিমান হামলায় বেসামরিক নাগরিক হতাহতের ঘটনায় জাতিসংঘ মহাসচিবের উদ্বেগ

মিয়ানমারে বিমান হামলায় বেসামরিক নাগরিক হতাহতের ঘটনায় জাতিসংঘ মহাসচিবের উদ্বেগ Photo: Reuters

মিয়ানমারের মিনবিয়া শহরসহ বেশ কিছু এলাকায় সামরিক জান্তার বিমান হামলায় বহু বেসামরিক নাগরিক হতাহতের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। সোমবার এ কথা জানিয়ে জাতিসংঘের এক মুখপাত্র বলেছেন, রাখাইন রাজ্যে সংঘাতের বিস্তৃতি বাস্তুচ্যুতিই ঘটাচ্ছে শুধু। সেই সঙ্গে আগে বিদ্যমান বৈষম্য ও অসহায়ত্বকে বাড়িয়েই তুলছে। এমন পরিস্থিতিতে সাম্প্রদায়িক উস্কানি ঠেকাতে সব পক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন মহাসচিব। খবর বিবিসি ও ইরাবতীর।

২০২১ সালে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মিয়ানমারের নির্বাচিত সরকারের কাছ থেকে সামরিক বাহিনী ক্ষমতা দখল করার পর থেকেই অশান্ত হয়ে ওঠে দেশটি। বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ মিয়ানমারে কয়েক দশক ধরে নিপীড়নের সম্মুখীন হয়েছে মুসলিম রোহিঙ্গারা। ফলে প্রায় ১০ লাখ বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা প্রতিবেশী দেশে আশ্রয় নিয়েছে। এদের বেশির ভাগই ২০১৭ সালে সামরিক দমনপীড়নের পরে পালিয়েছে। মিয়ানমারের সামরিক শাসকরা রোহিঙ্গাদের বিদেশি অনুপ্রবেশকারী মনে করে, তাদের নাগরিকত্ব অস্বীকার করে আসছে।

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মিনবিয়া শহরে সোমবার সামরিক জান্তার বোমা হামলায় অন্তত ২৩ রোহিঙ্গা নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৩৩ জন। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, কোনো ধরনের উস্কানি ছাড়াই এই হামলা চালিয়েছে জান্তা বাহিনী।

মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সোমবার থারডার এলাকায় জান্তা বাহিনী যুদ্ধবিমান থেকে দুটি বোমা নিক্ষেপ করেছে। এতে ২৩ জন নিহত হন। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে এক ধর্মীয় নেতা, তার স্ত্রী ও বেশ কয়েকজন শিশু রয়েছে।

রোহিঙ্গা সমাজকর্মী নায় সান লিউইন বলেন, মিয়ানমার সেনাবাহিনীর অপকর্মের জন্য কখনও তাদের শাস্তি হয়নি। এই দায়মুক্তি তুলে নেওয়া না হলে তাদের অপরাধ কখনও বন্ধ হবে না।