ট্রান্সকমের সিমিনসহ ৩ জনকে দেশে ফেরার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ হাইকোর্টের

ট্রান্সকমের সিমিনসহ ৩ জনকে দেশে ফেরার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ হাইকোর্টের

ট্রান্সকম গ্রুপের আরশাদ ওয়ালিউর রহমানকে হত্যার অভিযোগে বোন শাযরেহ হকের করা মামলায় ট্রান্সকম গ্রুপের শীর্ষ তিন কর্মকর্তাকে নির্বিঘ্নে দেশে ফিরতে সহায়তার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। সেইসঙ্গে দেশে ফিরে তাদের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন আদালত।

রোববার বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও কে এম জাহিদ সারওয়ারের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। সিমিন রহমানের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সিদ্দিক উল্যাহ মিয়া মানবজমিনকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ট্রান্সকম গ্রুপের তিন শীর্ষ কর্তা হলেন গ্রুপের বর্তমান চেয়ারম্যান শাহনাজ রহমান, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সিমিন রহমান ও হেড অব ট্রান্সফরমেশন যারেফ আয়াত হোসেন।

কোম্পানির সম্পত্তি ও শেয়ার-সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ট্রান্সকম গ্রুপের প্রয়াত চেয়ারম্যান লতিফুর রহমানের মেয়ে শাযরেহ হক তার বড় বোন, ট্রান্সকম গ্রুপের বর্তমান সিইও সিমিন রহমান এবং গ্রুপের বর্তমান চেয়ারম্যান, তাদের মা শাহনাজ রহমানসহ ট্রান্সকমের আট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তিনটি মামলা করেছেন।

ট্রান্সকম গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত লতিফুর রহমানের ছোট মেয়ে মামলার অভিযোগে বলেছেন, তার বড় বোন সিমিন রহমানসহ আসামিরা তার বড় ভাই আরশাদ ওয়ালিউর রহমানকে বিষ প্রয়োগ/শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছেন।

মামলার অপর আসামিরা হলেন- সিমিন রহমানের ছেলে যারেফ আয়াত হোসেন, এসকেএফ ফার্মাসিউটিক্যালসের ব্যবস্থাপক ডা. মুরাদ এবং পরিচালক (বিপণন ও বিক্রয়) ডা. মো. মুজাহিদুল ইসলাম, ট্রান্সকম গ্রুপের পরিচালক (অর্থ) কামরুল হাসান, আইন কর্মকর্তা মো. ফখরুজ্জামান ভুঁইয়া, ব্যবস্থাপক (করপোরেট অ্যাফেয়ার্স) কেএইচ মো. শাহাদত হোসেন, কর্মকর্তা জাহিদ হোসেন ও সেলিনা সুলতানা এবং গ্রুপের কর্মচারী রফিক ও মিরাজুল।

প্রসঙ্গত, এর আগে কোম্পানির সম্পত্তি ও শেয়ার-সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে বড় বোন ও গ্রুপের বর্তমান চেয়ারম্যান মা শাহনাজ রহমানের বিরুদ্ধে মামলা করেন শাযরেহ। তাতে আরও অনেককে আসামি করা হয়। ওই মামলায় বিশ্বাসভঙ্গ, জালিয়াতি ও দলিল জালের মাধ্যমে শাযরেহ ও তার প্রয়াত ভাই আরশাদ ওয়ালিউর রহমানকে ১০ হাজার কোটি টাকা মূল্যের পারিবারিক সম্পত্তির ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করার অভিযোগ করা হয়।