চাল নিয়ে সংঘর্ষে ৫ পুলিশসহ আহত ২০

চাল নিয়ে সংঘর্ষে ৫ পুলিশসহ আহত ২০

চাঁদপুর সদর উপজেলার ১০নং লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নে দফায় দফায় সংঘর্ষে ৫ পুলিশসহ ২০ জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার রাতে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের সামনে ও বহরিয়া বাজারে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

সরকারি বরাদ্দ জাটকা রক্ষা কর্মসূচির অনিয়ম কেন্দ্র করে চেয়ারম্যান গ্রুপ ও জেলে গ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়। এতে চাঁদপুর সদর মডেল থানার মকবুল হোসেন নামে একজন এসআই জখম ও পাঁচ পুলিশসহ ২০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

জানা যায়, পরে এ সংঘর্ষ বহরিয়া বেড়িবাঁধ সড়কের ওপর লক্ষ্মীপুর বালু খোলা পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে লিপ্তরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র, ইটপাটকেল ও কাচের বোতল নিয়ে একে অপর গ্রুপকে ধাওয়া করলে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এ সময় দুই দিকের যানবাহন চলাচল আটকা পড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে ২৬ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে পুলিশ।

ঘণ্টার পর ঘণ্টা চলা এ সংঘর্ষ রাত ১১টার পর পরিস্থিতির শান্ত হয় বলে এলাকা সূত্রে জানা গেছে। ঘটনাস্থল অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

আহতদের মধ্যে চাঁদপুর মডেল থানার এসআই মকবুল হোসেন (৫৫) ও কনস্টেবল আপেল মাহমুদকে (৪০) ঢাকায় রেফার করা হয়। এ ছাড়া বাকিরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নেন।

প্রত্যক্ষদর্শী লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়নের ৭ নাম্বার ওয়ার্ড মেম্বার মো. হাবিবুর রহমান বলেন, ওই কর্মসূচির আওতায় সাড়ে ৪ হাজার কার্ডধারীর মধ্যে চাল বিতরণ চলছিল। এ সময় জেলের তুলনায় চাল কম হওয়ায় ৬ ও ৭ নাম্বার ওয়ার্ডের ৪০ থেকে ৫০ জন জেলেকে চাল দেওয়া সম্ভব হয়নি। এ জন্য বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম খানের নির্দেশে চাল বিতরণ বন্ধ ঘোষণা করা হয়। পরে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মরহুম মনা খাঁর বাড়ি এলাকার ওয়ার্ডের জেলেরা হামলা করেন। এতে তাদের অন্তত ১০-১২ জন লোক আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ২৬ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে। এ সময় হামলাকারীদের হামলায় পুলিশের এসআই মকবুল হোসেনসহ আরও ৫ জন পুলিশ আহত হন। পুলিশের গুলিতে ও হামলাকারীদের হামলায় উভয়পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হন।

সদর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা তানজিমুল ইসলাম বলেন, চাল বিতরণের অনিয়ম নিয়ে বর্তমান ও সাবেক চেয়ারম্যানের লোকজন মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

চাঁদপুর মডেল থানার ওসি শেখ মহসীন আলম বলেন, আমরা সেখানে হামলার ঘটনা শুনে অতিরিক্ত পুলিশ পাঠাই। এ সময় আমাদের ওপর চারপাশ থেকে হামলা চালানো হয়। এ সময় বাধ্য হয়ে ফাঁকা গুলি চালাই। আমাদের একজন এসআইসহ বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হন। তবে অন্য কেউ আহত আছে কিনা আমার জানা নেই।