যেসব গ্রামে আজ ঈদ

যেসব গ্রামে আজ ঈদ

ঢাকা, ১৫ জুন (জাস্ট নিউজ) : সৌদি আরব ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে আজ উদযাপিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। সারাদেশে হানাফি মাজহাবের অনুসারীরা এ নিয়ম পালন করে থাকেন।

বরিশাল ও পটুয়াখালী: বরিশাল ও পটুয়াখালী জেলার কয়েক হাজার পরিবার আজ শুক্রবার ঈদুল ফিতর উদযাপন করা হচ্ছে। চট্টগ্রাম জেলার চন্দনাইশ উপজেলার এলাহাবাদ দরবার শরিফের অনুসারী ঈদ উদযাপন করছেন। বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার ওলানকাঠি এলাকার সরোয়ার খলিফার বাড়ি, খানপুরায় জাহাঙ্গীর সিকদারের বাড়ি, কেদারপুরের মান্নান হাওলাদারের বাড়ি ও মাধবপাশার আমীর দুয়ারী বাড়ির জামে মসজিদে প্রতি বছরের মতো এবারও আয়োজন করা হয়েছে ঈদ জামায়াতের। এসব এলাকায় ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে।

খানপুরার জাহাঙ্গীর সিকদার ও মাধবপাশার আমির দুয়ারী বলেন, সৌদি আরবের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে তারাও আজ ঈদ উদযাপন করছেন। একই এলাকার প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম জানান, তারা ১৬ মে থেকে রোজা রাখছেন। সে হিসাবে গতকাল বৃহস্পতিবার ৩০ রোজা পূর্ণ হয়েছে।

পটুয়াখালীর নিশানবাড়িয়া, বাউফলের মদনপুরা, বগা, জৌতা, শাবুপুরা, ঝিলনা, কাছিপাড়া, গলাচিপা উপজেলার ডাউকা ও কলাপাড়ার নিশানবাড়িয়া, বরিশালের সাগরদী এলাকার দাসকাঠি, টিয়াখালীর চৌধুরীবাড়ি এলাকার কয়েকশ' পরিবার আজ ঈদ উদযাপন করছে।

কলাপাড়া শহরের নাইয়াপট্টি এলাকার বাসিন্দা মো. রুস্তম আলী বলেন, ‘আমরা কাদেরিয়া তরিকার অনুসারী। সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে আমরা রোজা ও ঈদ করি। অন্য মুসলমানদের চেয়ে আমরা একদিন আগে রোজা রেখেছি। সে হিসাবে একদিন আগে ঈদ উদযাপন করছি।’

বোয়ালমারী: ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার ১০ গ্রামে আজ ঈদুল ফিতর উদযাপিত হচ্ছে। উপজেলার রূপাপাত ইউনিয়নের কাটাগড়, কলিমাঝি, সুর্যোগ ও শেখর ইউনিয়নের সহস্রাইল, মাইটকোমরা, গঙ্গানন্দপুর, রাখালতলিসহ দশ গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ ঈদের নামাজ আদায় করবে।

আলফাডাঙ্গা সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মো. মাহিদুল হক জানান, চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার মির্জাখিল শরিফের অনুসারী হিসেবে তাদের এলাকার মানুষ সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদ উদযাপন করেন।

মঠবাড়িয়া: পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলায় আজ ঈদুল ফিতর উদযাপন করা হচ্ছে। উপজেলার সাপলেজা ইউনিয়নের ভাইজোড়া, কচুবাড়িয়া, সাপলেজা, ঝাটিবুনিয়া ও খেতাছিড়া গ্রামে শুরেশ্বর পীরের অনুসারী ছয় শতাধিক পরিবার আজ ঈদুল ফিতর উদযাপন করছে। ভাইজোড়া গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য ফরহাদ হোসেন জানান, তারা প্রতি বছরই সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রোজা ও ঈদ পালন করে থাকেন।

(জাস্ট নিউজ/একে/১০৪৪ঘ.)