
টানা ছয় দিন ধরে বন্ধ রয়েছে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে। গত কয়েক দিনে ধারাবাহিকতায় সোমবারও হাসপাতালে সেবা দিতে কোনো চিকিৎসক, নার্স ও কর্মচারী আসেননি।
চিকিৎসাসেবা বন্ধ থাকলেও সোমবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে একাধিক চক্ষু রোগী এসেছিলেন। তবে সবাই বিনা চিকিৎসায় ফিরে গেছেন। তাদের কেউ নতুন রোগী। কেউবা আগে অস্ত্রোপচারে পর ফলোআপ চিকিৎসা নিতে এসেছেন। অনেকের দ্বিতীয় দফা অস্ত্রোপচারের তারিখ ছিল। তারা এসেই দেখছেন হাসপাতালে গেটে তালা ঝুলছে।
বুধবার চিকিৎসক-কর্মচারীদের সঙ্গে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহতদের মারামারির পর থেকে হাসপাতালটিতে অচলাবস্থা চলছে। সোমবার স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত প্রতিনিধি দল হাসপাতাল পরিদর্শন করেন। প্রতিনিধি দল হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জানে আলমকে নিয়ে চিকিৎসক, নার্স ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
হাসপাতাল পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ডা. জানে আলম যুগান্তরকে বলেন, দ্রুত হাসপাতাল চালু করতে ঊর্ধ্বতন মন্ত্রণালয় থেকে কাজ হচ্ছে। তবে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। রোগীদের পার্শ্ববর্তী হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। সাধারণ রোগী না থাকলেও জুলাই বিপ্লবে আহত হয়ে চিকিৎসাধীন থাকা রোগীদের খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে। খাবার নিয়ে তারা সন্দেহ প্রকাশ করায় দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা খাবার পরীক্ষা করে তারপর আহতদের খেতে দিচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, আন্দোলনকারীরা বেশ কিছু নারী চিকিৎসক-নার্সকে হেনস্তা করায় অনেকে উদ্বিগ্ন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত তাদের মধ্যে আতঙ্ক কাটছে না।