
পবিত্র ঈদুল আজহার ত্যাগের শিক্ষা নিয়ে বৈষম্যমুক্ত সুখী, সমৃদ্ধ ও শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
ঈদুল আজহা উপলক্ষে এক বার্তায় তিনি বলেন, ‘আসুন আমরা পবিত্র ঈদুল আজহার ত্যাগের শিক্ষা ধারণ করি এবং জুলাইয়ের অভ্যুত্থানের পর বৈষম্যমুক্ত, সুখী, সমৃদ্ধ ও শান্তিপূর্ণ দেশ হিসেবে নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলি।’
বাংলাদেশ ও দেশের জনগণের ধারাবাহিক সমৃদ্ধি ও অগ্রগতির জন্য মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করেন অধ্যাপক ইউনূস।
পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে তাঁর দেশবাসী এবং বিশ্বজুড়ে মুসলিমদের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
তিনি আশা প্রকাশ করেন যে পবিত্র উৎসব সকলের জন্য কল্যাণ ও সমৃদ্ধি বয়ে আনবে, মানুষের মধ্যে ত্যাগের নতুন চেতনা জাগিয়ে তুলবে।
প্রধান উপদেষ্টা ঈদুল আজহাকে ইসলামের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় অনুষ্ঠান হিসেবে বর্ণনা করেছেন, যা মহান আল্লাহর প্রতি গভীর নিষ্ঠা এবং চূড়ান্ত আত্মসমর্পণের প্রতীক।
তিনি বলেন, ‘হজরত ইব্রাহিম (আ.)আল্লাহর আদেশ পালনের জন্য তাঁর প্রিয় পুত্র হযরত ইসমাইলকে (আ.) উৎসর্গ করতে প্রস্তুত ছিলেন, তাঁর ভালোবাসা, আনুগত্য এবং ত্যাগের যে অতুলনীয় উদাহরণ প্রদর্শিত হয়েছে, তা ঈমানের ইতিহাসে এক অসাধারণ শিক্ষা হিসেবে রয়ে গেছে।’
অধ্যাপক ইউনূস জোর দিয়ে বলেন যে, পশু কোরবানির রীতি (কুরবানি) নিঃস্বার্থতার অনুভূতি জাগিয়ে তোলে এবং পরিবার, প্রতিবেশী এবং বৃহত্তর সম্প্রদায়ের সঙ্গে আনন্দ ও দুঃখ ভাগাভাগি করার গুরুত্ব শেখায়। তিনি আরও বলেন, এটি সহনশীলতা ও সহানুভূতির একটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষাও দেয়।
তিনি বলেন, প্রতি বছর ঈদুল আজহা উদযাপন সংহতি ও সাম্য প্রচারের মাধ্যমে সামাজিক বন্ধনকে শক্তিশালী করে, কারণ মুসলমানরা আত্মীয়স্বজন, প্রতিবেশী এবং অভাবীদের মধ্যে কোরবানির পশুর মাংস বিতরণ করে।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘ঈদুল আজহা আমাদের শান্তি, করুণা, ত্যাগ এবং ভ্রাতৃত্বের মূল্যবোধ শেখায়।’
‘এই পবিত্র অনুষ্ঠানের আসল মর্ম হলো আত্মশুদ্ধি, আত্মসংযম এবং সকল মুসলমানের মধ্যে সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির লালন।’