শিক্ষার্থীদের দাবি বাস্তবায়নে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান ঢাবি শিক্ষক সমিতির

শিক্ষার্থীদের দাবি বাস্তবায়নে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান ঢাবি শিক্ষক সমিতির

ঢাকা, ৩ আগস্ট (জাস্ট নিউজ) : নিরাপদ সড়কের আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের দাবি যৌক্তিক। তাই এসব দাবি দ্রুত বাস্তবায়নের সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।

বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি সভাপতি এ এস এম মাকসুদ কামাল ও সাধারণ সম্পাদক শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলাম এক বিবৃতিতে বলেন, আন্দোলনরত কোমলমতি শিক্ষার্থীরা সড়ক ব্যবস্থাপনায় বিশৃঙ্খলাগুলো আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে। আমরা তাদের নিরাপদ সড়ক বাস্তবায়নের সকল দাবি ন্যায্য বলে মনে করি এবং এই সকল দাবিসমূহ মেনে নিয়ে তা বাস্তবায়নে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নিতে সরকারকে আহ্বান জানাই। একই সঙ্গে আমরা দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের সংযত আচরণের জন্য আহ্বান জানাই। আমরা মনে করি সকল পক্ষের সদিচ্ছা থাকলে নিরাপদ সড়ক গড়ে তোলা সম্ভব। সাময়িক ব্যবস্থার পরিবর্তে স্থায়ী সমাধানের উপায় খুঁজে বের করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।

ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় অনিয়ম এবং দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়ে তারা বলেন, সড়ক ও পরিবহন ব্যবস্থাপনা কঠোর করে পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের আইন মেনে চলতে বাধ্য করতে হবে, তাহলেই নিরাপদ সড়ক ও যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলা সম্ভব হবে। ফুটপাত দখলমুক্ত করার পাশাপাশি ফুটপাত, ফুটওভারব্রিজ ও জেব্রা ক্রসিং ব্যবহার এবং ট্রাফিক সিগনাল মেনে চলার জন্য জনসচেতনতামূলক কর্মকাণ্ড গ্রহণের আহ্বান জানান তারা।

গত রবিবার (২৯ জুলাই) বিমানবন্দর সড়কে অপেক্ষারত শিক্ষার্থীদের ওপর বেপরোয়া প্রতিযোগিতারত বাস উঠিয়ে দিলে শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থী দিয়া আক্তার মিম ও আবদুল করিমের মর্মান্তিক মৃত্যু হয় এবং ১৫ জন আহত হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, এরই মধ্যে নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া ও শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবিগুলো পূরণের উদ্যোগ গ্রহণ করায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আহতদের সুস্থতা কামনা করছি এবং তাদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। একই সঙ্গে এই ঘটনায় দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের জন্য জোর দাবি জানাই।

তারা বলেন, দুর্ঘটনায় অধিকাংশ ক্ষেত্রে দায়ী পরিবহন সেক্টরের দীর্ঘদিনের অরাজকতা, চাঁদাবাজি, ট্রাফিক অব্যবস্থাপনা, ট্রাফিক আইনের যথাযথ প্রয়োগ না হওয়া। ফিটনেসবিহীন যানবাহন, লাইসেন্সবিহীন চালক দিয়ে গাড়ি চালানো, মালিকদের মুনাফালোভী চরিত্র ও পরিবহন মালিক-শ্রমিক সমিতির দৌরাত্ম্য পরিবহন খাতের এই নৈরাজ্যকে গভীর সংকটে পরিণত করেছে। উল্লেখিত ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থাসমূহ কার্যকর ভূমিকা পালনে চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে।

(জাস্ট নিউজ/এমআই/১০১১ঘ.)