জাবালে নূরের ঘাতক চালকের দোষ স্বীকার

জাবালে নূরের ঘাতক চালকের দোষ স্বীকার

ঢাকা, ৮ আগস্ট (জাস্ট নিউজ) : রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে শহীদ রমিজ উদ্দিন কলেজের দুই শিক্ষার্থীকে বাসচাপা দেওয়ার ক্ষেত্রে নিজের দোষের কথা আদালতে স্বীকার করলেন জাবালে নূরের বাসচালক মাসুম বিল্লাহ।

বুধবার ঘাতক চালককে ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করে স্বীকারোক্তি রেকর্ড করার আবেদন করেন ডিবি পুলিশের ইন্সপেক্টর কাজী শরিফুল ইসলাম।

মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম নবী আসামির জবানবন্দি রেকর্ড করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

গত ১ আগস্ট মাসুম বিল্লাহ-র ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন আদালত।

গত ২৯ জুলাই বিমানবন্দর সড়কে মিরপুরের দিক থেকে আসা জাবালে নূর পরিবহনের একটি বাস আরেকটি বাসের সাথে পাল্লা দিয়ে বেপরোয়া গতিতে হোটেল র‌্যাডিসনের বিপরীত পাশে জিল্লুর রহমান ফ্লাইওভারের সামনে বাসে ওঠার অপেক্ষায় থাকা শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের ১৪/১৫ জন ছাত্র ছাত্রীর উপর গাড়িটি উঠিয়ে দেয়।

এ ঘটনায় ওই কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী দিয়া খানম মিম ও বিজ্ঞান বিভাগের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র আব্দুল করিম রাজীব মারা যায়। এছাড়া আরো কয়েকজন ছাত্র-ছাত্রী আহত হয়।

এ ঘটনায় নিহত দিয়া খানম মিমের বাবা জাহাঙ্গীর আলম এ হত্যা মামলা দায়ের করেন।

জবানবন্দিতে মাসুম বিল্লাহ বলেন, ‘বেশি ভাড়া পাওয়ার আশায় আগে যাত্রী উঠানোর জন্য তিনটি বাসের সঙ্গে পাল্লা দিচ্ছিলাম। ছাত্ররা রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকায় ইচ্ছাকৃতভাবে তাদের ওপর বাস উঠিয়ে দেই।’

তিনি আরো বলেন, ‘জাবালে নূর বাসের (যার রেজি. নং ঢাকা মেট্রো-ব-১১-৯২৯৭) চালক আমি। গত ২৯ জুলাই জিল্লুর রহমান ফ্লাইওভারের নিচে দাঁড়িয়ে থাকা শহীদ রমিজ উদ্দিন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ১৪-১৫ জন ছাত্রছাত্রীর ওপর ইচ্ছাকৃতভাবে গাড়ি উঠিয়ে দিয়ে তাদের গুরুতর জখম করি। গাড়ি থেকে নেমে পালিয়ে যাই। আমার গাড়ির আঘাতেই রমিজ উদ্দিন কলেজের দুজন শিক্ষার্থী নিহত হয়। আহত হয় ৮-১০ জন।’

‘সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮’ এর খসড়ায় বলা হয়েছে, ‘প্রাণহানির ক্ষেত্রে দুর্ঘটনার কারণ ইচ্ছাকৃত ছিল তদন্তে তা প্রমাণিত হলে দণ্ডবিধির ৩০২ ধারা অনুযায়ী চালকের শাস্তি হবে মৃত্যুদণ্ড।’ এ আইন অনুযায়ী বিচার হলে চালক মাসুম বিল্লাহর মৃত্যুদণ্ড হওয়ার কথা, কারণ তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে এই ঘটনা ঘটান।

(জাস্ট নিউজ/একে/১৯৩৩ঘ.)