ঢাকা, ৩ নভেম্বর (জাস্ট নিউজ) : সবার অংশগ্রহণে সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থেই সংলাপে বসেছি বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘আমরা চাই সকলের অংশগ্রহণে একটা সুষ্ঠু নির্বাচন হোক। সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থেই আমরা সংলাপে বসেছি।
শনিবার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে আয়োজিত জেলহত্যা দিবসের আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেছেন।
তিনি বলেছেন, ‘দেশের মানুষ শান্তিতে থাকুক, দেশের মানুষ তার পছন্দ মতো ভোট দিতে পারুক, তারা তাদের পছন্দের সরকার বেছে নিক; সে কারণেই আমি ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে বৈঠক করেছি। আমি কিন্তু একটা কথাও বলিনি প্রথমে। প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে তাদের কথা শুনেছি। শেষে গিয়ে আমি কথা বলেছি। সেখানেও বলেছি কোনটা কোনটা আমরা করতে পারি, কোনটা রাষ্ট্রপতির, কোনটা নির্বাচন কমিশনের, কোনটা কীভাবে করা যায় এসব নিয়ে বলেছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যখন এই আলোচনা চলছে, আবার তখনই দেখলাম আন্দোলনের কর্মসূচি দেয়। একদিকে আলোচনা করবে, আবার অন্যদিকে আন্দোলনের কর্মসূচি দেওয়া- তাহলে এটা কী ধরনের সংলাপ। আমাদের কাছে এটা বোধগম্য নয়। জানি না জাতি এটা কীভাবে নেবে। তবে আমরা চাই গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকুক।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমরা বলেছি, যে দাবিগুলো মানা সম্ভব সেগুলো মেনে নেব। নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার তালিকা চেয়েছি। সেগুলো তদন্ত করে যদি রাজনৈতিক হয় তাহলে প্রত্যাহার করা হবে। তবে আমরাতো রাজনৈতিক হয়রানি এবং গ্রেপ্তার করিনি।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়া-তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মামলা করেছে তাদের নিজেদের লোকজন। সরকারের পক্ষ থেকে যদি মামলায় হস্তক্ষেপ করা হতো তা হলেতো ১০ বছর সময় লাগতো না। কিন্তু আমরা এ বিষযে কোনো হস্তক্ষেপ করিনি। কারণ বিচার বিভাগ স্বাধীন, তাদের ওপর হস্তক্ষেপ করা যায় না। ঐক্যফ্রন্টোর নেতারা বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের মামলার বিষয়ে আমাকে বলেছে বৈঠকে। তাদের বলেও দিয়েছি এটা আইন আদালতের বিষয়।
তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে দেশের উন্নতি হবে। মানুষ ভালো থাকুক, মানুষের ভালো হোক, দেশ ভালো থাকুক, বাংলাদেশের একেবারে তৃণমূলের মানুষটার জীবনও যেনো উন্নত হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে। গঠন করার আগে সার্চ কমিটি হয়েছে। সার্চ কমিটিতে প্রত্যেকটা দলের পক্ষ থেকে নাম গেছে। আমরা যেমন নাম দিয়েছি, বিএনপিও দিয়েছে। সবার মতামতের ভিত্তিতেই নির্বাচন কমিশন গঠন হয়েছে। এই কমিশন নিয়ে তো প্রশ্ন থাকতে পারে না।
(জাস্ট নিউজ/একে/১৯৩০ঘ.)