গণভবন নির্বাচনের কাজে ব্যবহার হচ্ছে : ড. কামাল হোসেন

গণভবন নির্বাচনের কাজে ব্যবহার হচ্ছে : ড. কামাল হোসেন

ঢাকা, ২৫ নভেম্বর (জাস্ট নিউজ) : একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরেও গণভবন, মন্ত্রীদের বাসভবন ও সরকারি অফিস রাজনৈতিক কর্মকান্ডে ব্যবহার করা হচ্ছে এমন অভিযোগ তুলেছেন বাংলাদেশের সংবিধান প্রণেতা, গণফোরাম সভাপতি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন।

রবিবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে ড. কামাল হোসেনের পক্ষে এক লিখিত বক্তব্যে এ কথা বলেন গণফোরামের কার্যকরী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী। নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে কথা বলতে গণফোরাম এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে৷

লিখিত বক্তব্যে জানানো হয়, গণভবন, মন্ত্রীদের বাসভবন, সরকারি অফিস রাজনৈতিক কর্মকান্ডে ব্যবহার করা হচ্ছে। যা আচরণবিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন (১৪(১), (১৪)(২)) হওয়া সত্ত্বেও নির্বাচন কমিশন নিরব ভূমিকা পালন করছে৷

ড. কামাল হোসেনের পক্ষে লিখিত বক্তব্যে সুব্রত চৌধুরী বলেন, নির্বাচনকালীন সময়ে দেশের প্রসাশন ও আইনশৃঙখলা বাহিনী নির্বাচন কমিশনের পুরোপুরি কর্তৃত্বের মধ্যে থাকলেও আজ অবধি প্রসাশনিক কর্মকর্তা, নির্বাচনী কর্মকর্তা ও আইনশৃঙখলা বাহিনীর সদস্যরা আইন বহির্ভূতভাবে নির্বাচনে অংশ গ্রহণকারী বিরোধী পক্ষের ওপর হাজার হাজার হামলা-মামলা, গ্রেপ্তার ও বাড়ি বাড়ি তল্লাশি অব্যাহত রেখেছে। এমনকি নির্বাচনে যারা প্রার্থী হবেন তাদেরকেও উচ্চ পর্যায়ের নির্দেশনায় মামলা ও গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।

বিচার বিভাগকে ব্যবহার করে জামিনে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। বলেন, সরকারি দলের প্রার্থী এবং মন্ত্রীদের দাপটের সাথে নির্বাচনী প্রচার ও ভোটারদের কাছে তাদের বক্তব্য তুলে ধরা হচ্ছে।

নির্বাচনী কাজে মন্ত্রীদের আইনশৃঙ্খলাবাহিনী ও প্রশাসন তাদের প্রটোকলসহ সার্বিক সহযোগিতা করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

আর বিরোধীদলের প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ঠিক উল্টো কাজ করা হচ্ছে। যেমন, কর্মীদের সঙ্গে নিজ এলাকায় বৈঠক পর্যন্ত করতে দেয়া হচ্ছে না।
এদিকে অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে গণফোরামে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দিয়েছেন একুশে টেলিভিশনের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুস সালাম। যোগদান শেষে তিনি বলেন, আজকে ড. কামাল হোসেন যে যুদ্ধ করছেন, এই একই যুদ্ধের জন্য ২০১৫ সালে আজকের এই দিনে একুশে টেলিভিশন দখল করা হয়। আজ তিন বছর হয়ে গেল। আবদুস সালাম বলেন, আজ আমি আনুষ্ঠানিকভাবে গণফোরামের সদস্য হিসাবে যোগ দিলাম। আজ থেকে আমার নেতা ড. কামাল হোসেন। আশা করি আপনারাও আমাদের সঙ্গে থাকবেন।

ড. কামাল হোসেন ছাড়াও সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহাসিন মন্টু, প্রেসিডিয়াম সদস্য এডভোকেট জগলুল হায়দার আফ্রিক, সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক আহমেদ প্রমুখ। এছাড়া কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম, সাবেক ছাত্রনেতা সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহম্মেদও উপস্থিত ছিলেন।

(জাস্ট নিউজ/এমজে/একে/১৬০৫ঘ.)