সুষ্ঠু নির্বাচনে সেনাবাহিনীই এখন একমাত্র ভরসা: ড. কামাল হোসেন

সুষ্ঠু নির্বাচনে সেনাবাহিনীই এখন একমাত্র ভরসা: ড. কামাল হোসেন

ঢাকা, ২৪ ডিসেম্বর (জাস্ট নিউজ) : ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীর বাসায় হানা দিয়ে বাড়াবাড়ি করছে পুলিশ। অন্যদিকে বিজিবি নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি হানা দিচ্ছে, হয়রানি করছে। দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনীই এখন একমাত্র ভরসা বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের সংবিধান প্রণেতা, গণফোরামের সভাপতি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন।

সোমবার বিকালে পুরানো পল্টনে ঐক্যফ্রন্টের অস্থায়ী কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। লিখিত বক্তব্যটি পাঠ করেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না।

লিখিত বক্তব্যে ড. কামাল হোসেন বলেন, ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী ও নেতাকর্মীদের মাঠে দাঁড়াতে দেয়া হচ্ছে না। ভোট দেয়া তো দূরের কথা কাউকে ঘরে ঘুমাতেও দেয়া হচ্ছে না। একদিকে দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত হচ্ছে না অন্যদিকে বিদেশি পর্যবেক্ষকদের ভিসাও দেয়া হচ্ছে না। উপজেলা চেয়ারম্যানদের পদত্যাগপত্র গ্রহণের আইন থাকলেও হাইকোর্ট থেকে তাদের নির্বাচন করতে দেয়া হচ্ছে না। একমাত্র ভরসা যে স্বাধীনতার সময় অনন্য ভূমিকা পালনকারী বাংলাদেশ সেনাবাহিনী মাঠে নেমেছে। তাদের কাছ থেকে দেশের মানুষ নিরাপদ পরিবেশে অবাধ সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানে প্রত্যাশা করে।

ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘সব সময় সেনাবাহিনী দেশের জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে। এবারো আমরা আশা করব, সেনাবাহিনী জনগণের ভোটাধিকার রক্ষায় জনগণের পাশে দাঁড়াবে। সেনা মোতায়েনের পরও সারা দেশে হামলার ঘটনা অপ্রত্যাশিত।’

ঐক্যফ্রন্টের এই শীর্ষ নেতা বলেন, ‘জনগণ যেহেতু পরিবর্তনের পক্ষে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। তারা এখন পরিবর্তন চায়। আমরা সেটা পাব, যদি নির্বাচন ধ্বংস না হয়। এটা অতীতেও দেখেছি, জনগণ ঐক্যবদ্ধ হলে স্বৈরাচারীরা নির্বাচন ধ্বংস করার চেষ্টা করে। তবে এবার তারা পারবে না সেটি। হয়তো তারা একটু ক্ষতি করবে দেশের।’

জনগণের উদ্দেশে ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘এই নির্বাচনে সবার ভোট দেওয়া উচিত। আমরা আশা করব, সুষ্ঠু নির্বাচনে জনগণ তাদের রায় দিয়ে প্রতিনিধি নির্বাচিত করবেন। কারণ জনগণ এ রাষ্ট্রের মালিক, এটা সংবিধানে আছে।’

সংবাদ সম্মেলনে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর আবদুল কাদের সিদ্দিকী, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও উপস্থিত ছিলেন।

মির্জা আলমগীর বলেন, ‘এরই মাঝে সরকার ও নির্বাচন কমিশন মিলে এই নির্বাচনকে একটা প্রহসনে পরিণত করেছে। এখনো আমাদের প্রার্থীদের ওপর হামলা করছে।’

(জাস্ট নিউজ/একে/১৮১২ঘ.)