এরশাদের আসনে প্রার্থী নিয়ে দ্বন্দ্বে আ’লীগ-জাপা

এরশাদের আসনে প্রার্থী নিয়ে দ্বন্দ্বে আ’লীগ-জাপা

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ’র মৃত্যুতে শূন্য হওয়া রংপুর-৩ আসনের উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগ একক প্রার্থী দিবে। অন্যদিকে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা বলেছেন, এই আসনে মহাজোটবদ্ধভাবেই নির্বাচন হবে।

শনিবার রংপুর জিলা স্কুল মাঠে মহানগর যুবলীগের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাহাঙ্গীর কবির নানক এ কথা বলেন।

জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করতেই জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ’র মৃত্যুতে শূন্য হওয়া রংপুর-৩ আসনের উপ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ একক প্রার্থী দিবে।

এ প্রসঙ্গে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা গণমাধ্যমকে বলেছেন, শূন্য হওয়া রংপুর-৩ আসন আমাদের দলীয় প্রধানের আসন। এখানে অতীতেও মহাজোটবদ্ধ নির্বাচন হয়েছে। উপ-নির্বাচনও মহাজোটবদ্ধভাবেই হবে ইনশাল্লাহ।

প্রার্থীতার ব্যপারে তিনি বলেন, পারিবারিক, রাজনীতিক দুটি বিষয়ই আছে প্রার্থীতা চূড়ান্তের তালিকায়। সেক্ষেত্রে প্রেসিডিয়াম বৈঠকেই মূল সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

তিনি বলেন, আমরা এই আসনটিতে শিক্ষিত, মার্জিত, বিনয়ী এবং দলীয় নেতাকর্মীদের আস্থাভাজন একজন প্রার্থীকে চুজ করতে চাই। যে মানুষটি আমাদের স্যারের মতো সাধারণ মানুষ এবং নেতাকর্মীদের সব সময় খোঁজ খবর নিতে পারবেন। কারণ এই আসনটির এমপিকে ঘিরেই আমরা এরশাদ স্যারের জীবন কর্ম ও চেতনার সবার কাছে ছড়িয়ে দিয়ে জাতীয় পার্টিকে দেশের ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে যেতে চাই।

প্রসঙ্গত: গত ১৪ জুলাই সকালে মারা যান জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। ১৬ জুলাই নজীরবিহীন বিক্ষোভের মুখে বনানী কবরস্থানের পরিবর্তে রংপুরের পল্লী নিবাসেই সমাহিত করা হয় তাকে। এর মাধ্যমে শৃঙখলিত জীবিত এরশাদের বদলে মৃত এরশাদকে মুক্ত জীবন্ত দাবী করে জাতীয় পার্টির উন্নত ভবিষ্যতের দাবি নেতাকর্মীদের। ওইদিনই সংসদ সচিবালয়ের সচিব (রুটিন দায়িত্ব) আ ই ম গোলাম কিবরিয়া আসনটি শূন্য হওয়ার গেজেট প্রকাশ করেন।

সংবিধান অনুযায়ী আগামী ১১ অক্টোবরের মধ্যে ওই আসনে উপ-নির্বাচন হবে। এরশাদের চির অবর্তমানে এই আসনটি জাতীয় পার্টির ঘরে রাখা এখন এখানকার নেতাকর্মীদের প্রধান এবং বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দাড়িয়েছে। অন্যদিকে আওয়ামী লীগও চাইছে আসনটি বাগিয়ে নিয়ে রংপুর অঞ্চলে তাদের একচ্ছত্র আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করতে।