ঢাকা, ৬ ফেব্রুয়ারি (জাস্ট নিউজ) : আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর ভর করে সরকার নিজের স্বৈরাচারী গণতন্ত্রবিনাশী ইচ্ছে পূরণ করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ।
তিনি বলেন, সরকার রাষ্ট্রীয় শক্তিকে আয়ত্বে নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা-সমাবেশ-ঘরোয়া বৈঠক-চলাচল এমনকি ধর্মীয় অনুষ্ঠানকে সন্ত্রাসী তাণ্ডবে স্তব্ধ করে দিচ্ছে।
মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে রুহুল কবির রিজভী এসব কথা বলেন।
বিএনপির এই নেতা বলেন, বছরের পর বছর ধরে দেশে আর্থ-সামাজিক-রাজনৈতিক-প্রশাসনিক-বিচারিক নানামুখী সংকট সৃষ্টি করছে সরকার।
রিজভী বলেন, সোমবার বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া হযরত শাহজালাল (র.)-এর মাজার জিয়ারতের জন্য সিলেটে যান। এটি ছিল তাঁর সম্পূর্ণভাবে ব্যক্তিগত সফর, মাজার জিয়ারত, যা ধর্মীয় অনুষ্ঠান। দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী বেগম জিয়া দেশের যে জেলাতেই যান না কেন, পথিমধ্যে হাজার মানুষ তাঁকে অভ্যর্থনা জানানোর জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু তাঁর সিলেট যাবার পথে অভ্যর্থনা জানাতে অপেক্ষমাণ বিএনপি নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের ওপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সরকারদলীয় অঙ্গসংগঠনের যৌথ আক্রমণে এক বিভিষিকাময় পরিস্থিতির সূচনা হয়। সরকারি বাহিনীগুলোর আক্রমণে বিএনপি নেতাকর্মীদের ক্ষমতবিক্ষত করা হয়, মৃত্যু ভয়ে ঊর্ধ্বশ্বাসে কেউ পালিয়ে বাঁচার চেষ্টা করলে তাকে টেনে হিঁচড়ে আটক করে পুলিশ ভ্যানে তোলা হয়।
আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রকে কঙ্কালে পরিণত করেছে অভিযোগ করে রুহুল কবির রিজভী বলেন, গণতন্ত্রশূন্য দেশে প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচনকে আটকিয়ে রাখতেই পুলিশকে ক্ষমতাবান করা হয়েছে। আর পুলিশ অত্যন্ত নিষ্ঠার সাথে সরকারের নিষ্ঠুর শাসনের সঙ্গী হিসেবে অমানবিক নিপীড়ন যন্ত্রে পরিণত হয়েছে। এটি কোনো বিচ্ছিন্ন নৃশংসতা নয়, ৮ ফেব্রুয়ারিতে সরকারপ্রধানের ইচ্ছে পূরণ নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বেপরোয়া উন্মত্তায় বিএনপির ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ছে। কিন্তু সরকার মনে হয় রায় নির্ধারণ করে রেখেছে বলেই প্রতিক্রিয়ার অজানা আতঙ্কে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর বুলডোজার চালাচ্ছে।
অন্যায়ভাবে বিএনপির যেসব নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে দায়ের করা অসত্য মামলা প্রত্যাহার করে নিঃশর্ত মুক্তির জোর দাবি জানান রিজভী। সেই সঙ্গে পুলিশের হামলায় যেসব নেতাকর্মী আহত হয়েছেন তাঁদের সুস্থতাও কামনা করেন তিনি।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, সারাদেশে এখন পর্যন্ত বিএনপির ১১০০ শতাধিক নেতাকর্মী গ্রেফতার করেছে। এসময় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেলের সন্ধান দাবি করেন রিজভী। তাকে আটক করা হলে বা না হলেও অবস্থান পরিষ্কার করতে বলেন তিনি।
(জাস্ট নিউজ/ওটি/১৩০৫ঘ.)
