ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১, পুলিশের গুলি

ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১, পুলিশের গুলি

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এবায়েদুর রহমান খোকন বলির ওপর হামলার ঘটনায় ছাত্রলীগের দু’গ্রুপে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় পুলিশ উভয় পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করতে এক রাউন্ড শর্টগানের গুলি ছোঁড়ে।

উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এবায়েদুর রহমান খোকন বলি ও পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদি হাছান রাব্বি গ্রুপের সাথে শুক্রবার দিবাগত রাতে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। আর এ ঘটনায় উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এবায়েদুর রহমান খোকন বলি আহত হয়েছেন। পরে খোকন বলিকে প্রথমে হাজীগঞ্জ বাজারস্থ ইসলামিয়া মডার্ন হাসপাতালে পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের সময় বাজারে এক ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। আতঙ্কে ব্যবসায়ীরা দোকানপাট বন্ধ করে দেয়। বন্ধ হয়ে যায় ব্যস্ততম সড়ক কুমিল্লা-চাঁদপুর ও রামগঞ্জ-হাজীগঞ্জ-গৌরিপুর সড়কে সকল যান চলাচল। প্রায় ১ ঘণ্টা সড়ক অবরোধ থাকে। সংঘর্ষের সময় বাজারে মাইক্রোবাস ও সিএনজি অটোরিকশা ভাঙচুর করা হয়।

এ ছাড়াও হাজীগঞ্জ পশ্চিম বাজারস্থ গাউছিয়া হাইওয়ে হোটেলের গ্লাস ভাঙচুর করা হয়। পরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আফজাল হোসেন, অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) মো. আবদুর রশিদসহ পুলিশ সদস্যরা খোকন বলি গ্রুপকে সড়ক থেকে সরিয়ে দিলে যান চলাচল শুরু হয়।

উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জীবন কাজী জানান, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এবায়েদুর রহমান খোকন বলির ওপর পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাব্বির লোকজন হামলা করে তাকে গুরুতর আহত করে।

পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদি হাছান রাব্বি গণমাধ্যমকে বলেন, আমার গ্রুপের ছেলেদেরকে খোকন বলির লোকজন আগে মারধর করেছিল। এ ঘটনায় সন্ধ্যায় খোকনের সাথে কথা কাটা-কাটি হয়। তার সূত্রধরে খোকন বলির লোকজন আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা করে এবং গাড়ি ভাঙচুর করে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আফজাল হোসেন জানান, ছাত্রলীগের দু’গ্রুপে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় পুলিশ উভয় পক্ষকে ছাত্রভঙ্গ করতে ১ রাউন্ড গুলি ছোড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। বাজারে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।a