মন্ত্রী-এমপিদের প্রচারণায় লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড বিনষ্ট হবে: মাহবুব তালুকদার

মন্ত্রী-এমপিদের প্রচারণায় লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড বিনষ্ট হবে: মাহবুব তালুকদার

ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের প্রচারণায় মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের অংশগ্রহণের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার। তিনি বলেন, মন্ত্রী-এমপিরা প্রচারণায় অংশ নিলে নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড বিনষ্ট হবে। নির্বাচন কমিশনের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

ঢাকার সিটি নির্বাচনকে সামনে রেখে বৃহস্পতিবার প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ দুই সিটির রিটার্নিং অফিসারের কাছে দেওয়া অপ্রাতিষ্ঠানিক (ইউও) নোটে তিনি এ কথা বলেন। চিঠির অনুলিপি কমিশনের অন্য তিন কমিশনারকেও দেওয়া হয়েছে। এর আগে ২০১৮ সালের ২৪ মে স্থনীয় সরকার নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিদের অংশগ্রহণের বিষয়ে তিনি নোট অব ডিসেন্ট দেন।

মাহবুব তালুকদার ইউও নোটে বলেন, আমি উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করেছি যে, আসন্ন ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের কার্যক্রম ও প্রচারে সংসদ সদস্যরা অংশ নিচ্ছেন। এটি সিটি কর্পোরেশন (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা, ২০১৬-এর লঙ্ঘন।

অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি নির্বাচন পূর্ব সময়ে নির্বাচনী এলাকায় প্রচারণা বা নির্বাচনী কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবেন না বিধিমালার এমন বিধানের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাহলে তারা কীভাবে এই নির্বাচনী কার্যক্রমে অংশ গ্রহণ করছেন, তা বোধগম্য নয়। কমিশনার বলেন, ‘সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি’ এই নির্বাচনী কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করলে সবার জন্য সমান সুযোগ বা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড বিনষ্ট হবে। অন্যদিকে এতে নির্বাচন কমিশনের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। নির্বাচন আচরণ বিধিমালা কঠোরভাবে পরিপালন করা একান্ত আবশ্যক। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে ইউও নোটে অনুরোধ জানানো হয়।

এর আগে ২০১৮ সালের ২৪ মে একই বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের সভায় নোট অব ডিসেন্ট দেন কমিশনার মাহবুব তালুকদার। সেখানে তিনি বলেন, সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের প্রচারণায় সংসদ সদস্যদের অংশগ্রহণের সুযোগ দিলে নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল ও বিরোধী দলের মধ্যে ভারসাম্য নষ্ট হবে। তিনি বলেন, নির্বাচনের সময় সংসদ সদস্যরা ভোটদান ছাড়া নিজের এলাকায় না গেলে উন্নয়ন কর্মকান্ড স্থবির হয়ে পড়বে না। বরং স্থানীয় সরকার নির্বাচনে তাদের উপস্থিতিতে নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য হবে না।