সরকারের যুগ্ম সচিব পদে পদোন্নতি সম্পূর্ণভাবে রাজনৈতিক স্বার্থে: রিজভী আহমেদ

সরকারের যুগ্ম সচিব পদে পদোন্নতি সম্পূর্ণভাবে রাজনৈতিক স্বার্থে: রিজভী আহমেদ

সরকারের যুগ্ম সচিব পদে পদোন্নতি সম্পূর্ণভাবে রাজনৈতিক স্বার্থে করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ। একদলীয় শাসনকে চূড়ান্ত রূপ দেওয়ার জন্য এটা করা হয়েছে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এ অভিযোগ করেন।

রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেন, ‘বাংলাদেশের এই দুর্যোগের সময়ে, করোনাকালেও চলছে মহাসমারোহে একদলীয় শাসনকে চূড়ান্ত রূপ দেওয়ার আয়োজন। সরকার মনে হয় এই মহাঅস্থিরতায় ভুগছে। সেজন্য নিজেদের পছন্দের লোকদেরকে পদোন্নতি দেওয়ার হিড়িক চালাচ্ছে। গত কয়েকদিন আগে ১২৩ জন উপ-সচিবকে যুগ্ম সচিব পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। সরকারের এই সুপারনিউমারি পদোন্নতি সম্পূর্ণভাবে রাজনৈতিক স্বার্থে।’

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘এই ঘোর দুর্দিনে পদ না থাকা সত্ত্বেও পদোন্নতি দেওয়ায় এটা সুপ্রমাণিত, সরকার জনগণের বাঁচা-মরাকে তোয়াক্কা করে না। শুধুমাত্র ক্ষমতাকে অনিশ্চয়তার হাত থেকে বাঁচানোর জন্য যত ধরনের স্বৈরাচারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা দরকার তারা সেটিই করছে।’

রিজভী আহমেদ বলেন, ‘গত শুক্রবার সরকারি ছুটির দিনে যুগ্ম সচিবের আদেশ দেওয়াটাও নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। পদ নেই, তবু পদোন্নতি চলছে আলোকে গতিতে। পর্যাপ্ত পদ থাকায় বেশির ভাগ কর্মকর্তাকেই আগের পদে থাকতে হবে বলে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। এই পদোন্নতিপ্রাপ্তদের মধ্যে আছেন চারজন মন্ত্রীর একান্ত সচিব ও ছয়জন জেলা প্রশাসকসহ আওয়ামী ঘনিষ্ঠরা।‘

২০০৯ সালে বর্তমান সরকার ক্ষমতাসীন হওয়ার পর থেকে দলীয় বিবেচনায় ঢালাওভাবে নিয়োগ ও পদোন্নতি দিচ্ছে অভিযোগ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘করোনা মহামারিতে দেশে লাশের সারি দীর্ঘ হলেও সরকারের সেদিকে কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। তারা গদি কীভাবে রক্ষা হবে, নব্য বাকশালি শাসন কীভাবে শক্তিশালী হবে সেদিকেই তারা এগিয়ে যাচ্ছে।’

রিজভী আহমেদ আরো বলেন, ‘অনেক মেধাবী কর্মকর্তা যোগ্যতা থাকার পরেও তাদের পদোন্নতি হয়নি। কুষ্ঠিনামা যাচাই করে শুধু মাত্র তাদেরকেই পদোন্নতি দেওয়া হচ্ছে, যারা ক্ষমতাসীন দলের সাথে নানাভাবে যুক্ত।’