করোনায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান কামাল ইবনে ইউসুফের ইন্তেকাল

করোনায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান কামাল ইবনে ইউসুফের  ইন্তেকাল

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন থেকে ইন্তেকাল করেছেন সাবেক মন্ত্রী এবং বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ।

বুধবার দুপুর ১টায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে কামাল ইবনে ইউসুফের বয়স হয়েছিল ৮০ বছর।

কামাল ইবনে ইউসুফের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনার পাশাপাশি শোক সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন তারা।

নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে গত ১৯ নভেম্বর তিনি এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন। তিন দিনের মাথায় তার দেহে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে। গত এক সপ্তাহ ধরে তাকে হাসপাতালে ভেন্টিলেটশনে রাখা হয়েছিল।

পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, ঢাকা থেকে চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফের মরদেহ ফরিদপুরে তার বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানেই তাকে দাফন করা হবে।

১৯৭৯ সালে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান নেতৃত্বে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) গঠিত হলে চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ সেখানে যোগ দেন।

জিয়াউর রহমানের সময়ে ১৯৭৯ সালে বিএনপিতে যোগ দেওয়া কামাল ইবনে ইউসুফ ডিস্ট্রিক্ট ডেভেলপমেন্ট উন্নয়ন কাউন্সিলর (ডিডিসি) ছিলেন। ১৯৭৯ সালের সংসদ নির্বাচনে তিনি প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

বিচারপতি আবদুস সাত্তারের সময় স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন এই বিএনপি নেতা। ১৯৯১ সালের সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে খালেদা জিয়া সরকার গঠন করলে কামাল ইবনে ইউসুফকে তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রীর দায়িত্ব দেন।

পরে ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় তিনি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।

ফরিদপুর জেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এ কে কিবরিয়া স্বপন বলেন, গত ১৯ নভেম্বর চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ঢাকার একটি হাসপাতালে ভর্তি হন। ২১ নভেম্বর তার করোনা শনাক্ত হয়। এরপর থেকে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।

চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ ফরিদপুর-৩ (সদর) আসন থেকে পাঁচ বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। তার এক চাচা চৌধুরী আবদুল্লাহ জহিরউদ্দীন লাল মিয়া মন্ত্রী এবং অন্য চাচা এনায়েত হোসেন চৌধুরী পাকিস্থান জাতীয় পরিষদের সদস্য ছিলেন।

কামাল ইউসুফের বড় মেয়ে চৌধুরী নায়াব ইউসুফ আগামীকাল অনুষ্ঠেয় ফরিদপুর পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে বিএনপি’র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নায়াব ইউসুফ কেন্দ্রীয় মহিলা দলের যুগ্ম সম্পাদক।

এ কে কিবরিয়া স্বপন আরও বলেন, কামাল ইউসুফের দুই মেয়ে দেশের বাইরে আছেন। পরিবারের সদস্যরা আলোচনা করে জানাজা ও দাফনের তারিখ নির্ধারণ করবেন।

এমজে/