সরকার গ্রাম্য মোড়লদের মতো মামলা-মোকদ্দমা দিয়ে ক্ষমতায় টিকে থাকার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘ভাস্কর্য ভাঙচুরের মামলায় খালেদা জিয়া, তারেক রহমান ও আমি হুকুমের আসামি হয়েছি সরকারের পরিকল্পনায়। তাদের নিয়োগ করা ব্যক্তিরা আমার বিরুদ্ধে এরকম গোটা ১৫ মামলা দিয়ে রেখেছে। বিরোধী নেতা-নেত্রীদের সবসময় মামলার মধ্যে রাখা হচ্ছে সরকারের একটা বৈশিষ্ট্য। যখন তারা জনগণের সম্মুখিন হতে পারেন না, গণতন্ত্রকে ভয় পান, অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন করতে ভয় পান, তখন তারা গ্রাম্য মোড়লদের মতো মামলা-মোকদ্দমা দিয়ে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চান। এ ধরনের মামলা প্রমাণ করে, এ দেশে কীভাবে তারা গণতন্ত্রকে হত্যা করছে এবং বিরোধীদলকে কীভাবে তারা সম্পূর্ণ নিশ্চিহ্ন করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।’
বুধবার বিএনপি মহাসচিব ঠাকুরগাঁও শহরের তাঁতিপাড়াস্থ নিজ বাসভবনে স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন। এসময় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মির্জা ফয়সাল আমিন, আসন্ন পৌর নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী শরিফুল ইসলাম শরিফ, সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হামিদসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
‘বিএনপি নয় আওয়ামী লীগই রাজপথ দখল করে আছে’ এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘হ্যাঁ, সেটা তো তারা করবেই। কারণ তাদের চারপাশে পুলিশসহ আইনশৃঙ্ক্ষলা রক্ষাকারী বাহীনির পাহাড়া, কিন্তু বিরোধীদলের ন্যুনতম নিয়মতান্ত্রিক পন্থায় আন্দোলন করার কোনও গণতান্ত্রিক পরিবেশ নেই। আজও সুগার মিলগুলো বন্ধের প্রতিবাদে বিএনপির শ্রমিক দলের প্রতিবাদ কর্মসূচি করতে দেওয়া হয়নি।’
বিএনপির বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিএনপি আন্দোলনে আছে। আওয়ামী লীগ ৭৫ সালে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর আবার ক্ষমতায় আসতে ২১ বছর অপেক্ষা করেছে। এরশাদ স্বৈরাচার ক্ষমতায় ছিল ৯ বছর। বর্তমান সরকারকেও উচ্ছেদ করতে জনগণ প্রস্তুতি নিচ্ছে।’
