দ্রুতই একদলীয় শাসনের পতন হবে: কর্নেল অলি

দ্রুতই একদলীয় শাসনের পতন হবে: কর্নেল অলি

খুব শিগগিরই একদলীয় শাসন ব্যবস্থার পতন হবে বলে মন্তব্য করেছেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপির) সভাপতি কর্নেল অলি আহমদ।

তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে ২৫শে মার্চ রাতে একজন তরুণ ক্যাপ্টেন হিসাবে বুকভরা আশা নিয়ে নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে, বাংলাদেশকে স্বাধীন করার জন্য সর্বপ্রথম সশস্ত্র বিদ্রোহ করি। মনে করেছিলাম, দেশ স্বাধীন হলে, আমাদের আর কোনো দুঃখ দুর্দশা থাকবে না। কিন্তু আজ সেটা ভুল প্রমাণিত হয়েছে। বর্তমান সরকারের আমলে নিজের ইজ্জত সম্মান নিয়ে বেঁচে থাকাটাই কঠিন হয়ে পড়েছে। আমরা মুক্তিযোদ্ধারা দেশ স্বাধীন করেছি। মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বের জন্য খেতাব পেয়েছি। কিন্তু পদে পদে আমাদেরকে অসম্মান করা হচ্ছে। এই ধরণের সোনার বাংলার জন্য জাতি মুক্তিযুদ্ধ করে নাই।

রোববার রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার ইনইস্টিটিউটে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

কর্নেল অলি আহমেদ বলেন, দেশ দীর্ঘ দিন যাবৎ একদলীয় শাসনের কবলে পড়েছে। নাই শান্তি, নাই ন্যায় বিচার, সুশাসন নির্বাসিত এবং গণতন্ত্রকে দাফন করা হয়েছে। মানুষের মৌলিক অধিকার হরণ করা হয়েছে। কারও জান-মালের নিশ্চয়তা নাই। দেশ এক অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। সমগ্র দেশ ও জাতি আজ একশ্রেণীর দুর্নীতিবাজ, লুটেরা এবং লোভী রাজনীতিবিদদের হাতে জিম্মি। তারা আমাদের স্বপ্নকে ধুলিসাৎ করে দিয়েছে। দেশকে তছনছ করে দিয়েছে। ঐক্য বিনষ্ট করেছে। সামাজিক মূল্যবোধ ও নীতি-নৈতিকতা বলতে অবশিষ্ট কিছুই নাই।

তিনি বলেন, দুর্নীতি ও মাদক সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে প্রবেশ করেছে। মনে রাখবেন, নীতি নৈতিকতা বিবর্জিত জাতি কখনও তার কাঙ্খিত লক্ষ্য অর্জন করতে পারে না। সমাজ আজ ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েছে। এই অসহনীয় অবস্থা থেকে পরিত্রাণ প্রয়োজন। দেশের মানুষ অনেক রক্ত দিয়েছে, অনেক অবিচার ও অত্যাচার সহ্য করেছে। বর্তমান অবস্থা মানুষের সহ্য ও ধৈর্য্যের সীমা ছাড়িয়ে গেছে। আমি বিশ্বাস করি খুব দ্রæতই একদলীয় শাসনের অবসান হবে।

এলডিপির মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহম্মদ এর সভাপত্বিতে দলটির যুগ্ম মহাসচিব তমিজউদ্দিন টিটুর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শাহাজান ওমর, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল সৈয়দ মোহাম্মদ ইব্রাহিম। আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন এলডিপির উপদেষ্টা অধ্যাপিকা কারিমা খাতুন, সিনিয়র সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ মোহাম্মদ ইব্রাহিম রওনক, গণতান্ত্রিক যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সফিউল বারী রাজু, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অধ্যক্ষ মো. মাহবুবুর রহমান প্রমূখ।