দেশের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে ভারতের স্বার্থ রক্ষা করছে সরকার : মির্জা আলমগীর

দেশের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে ভারতের স্বার্থ রক্ষা করছে সরকার : মির্জা আলমগীর

সীমান্তে হত্যা নিয়ে সব সময় ভারতের পক্ষে কথা বলেন বাংলাদেশর পররাষ্ট্রমন্ত্রী। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে আজ সোমবার (২১ ডিসেম্বর) সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

সোমবার সকালে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলের স্থায়ী কমিটির নেয়া এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আগামী ৩০ ডিসেম্বর সেই কলঙ্কময় কালো দিবসের দ্বিতীয় বছর পূরণ হবে। বাংলাদেশের মানুষ এই দিনটিকে ক্ষোভ ও ঘৃণার সঙ্গেই স্মরণ করে। ২০১৮ সালের নির্বাচন বাতিল করে পুনরায় নির্বাচনের দাবিতে আগামী ৩০ ডিসেম্বর দেশে জেলা ও মহানগর পর্যায়ে সকাল ১১টায় বিক্ষোভ সমাবেশ। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর যৌথভাবে প্রেস ক্লাবের সামনে সকাল ১১টায় সমাবেশ অনুষ্ঠান করবে।’

গত ১৯ ডিসেম্বর দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠকে বিএনপি মহাসচিব ছাড়া খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু উপস্থিত ছিলেন।

করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন সংগ্রহ ও বিতরণ সম্পর্কে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন সংগ্রহ ও বিতরণের একটি পরিকল্পনা সরকার প্রকাশ করলেও তা জনগণের কাছে স্পষ্ট নয়। ভ্যাকসিন সংগ্রহ ও তার সংরক্ষণ, পরিবহন এবং বিতরণের বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে সম্পন্ন করা জরুরি। সংগ্রহকৃত ভ্যাকসিন সুনির্দিষ্ট তাপমাত্রায় সংরক্ষণ, দেশের প্রতিটি জেলা-উপজেলায় বিতরণ এবং নীতিমালা সঠিকভাকে পালন করে ভ্যাকসিন গ্রহিতার কাছে ভ্যাকসিন প্রয়োগ পর্যন্ত একটি টেকনিক্যাল বিষয় হওয়ায় ভ্যাকসিন সংশ্লিষ্টকর্মীদের যথাযথ প্রশিক্ষণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই বিষয়গুলো সম্পর্কে কাল বিলম্ব না করে একটি রোড ম্যাপ প্রণয়ন ও তা জনগণের কাছে স্পষ্টভাবে অবহিতকরণ, সব ক্ষেত্রে জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণ এবং জনগণের স্বাস্থ্য নিরাপত্তাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে পুরো পরিকল্পনা জনগণের কাছে প্রকাশ করা প্রয়োজন বলে স্থায়ী কমিটির সভা মনে করে।’

স্থায়ী কমিটির সভায় সীমান্ত হত্যা বন্ধ ও পৌরসভার অনুষ্ঠিত নির্বাচনগুলোতে সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করতে না পারা ও নির্বাচন কমিশনের ব্যর্থতায় নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়।

গত ১৭ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যকার ভার্চুয়াল বৈঠকে যে কয়েকটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে তা বিস্তারিতভাবে জনগণের কাছে প্রকাশ না করায় স্থায়ী কমিটির সভায় ক্ষোভ প্রকাশ করা হয় বলে জানান বিএনপি মহাসচিব।

ভ্রান্তনীতি ও শিক্ষা ব্যবস্থার দুর্নীতির কারণে বাংলাদেশ একটি শিক্ষা প্রতিবন্ধী জাতি হিসেবে পরিণত হতে চলেছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বৈর্শ্বিক সূচকে ১৩৮টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১১২তম এবং দক্ষিণ এশিয়ার সর্বনিম্ন হওয়ায় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে হতাশা এবং সরকারের ব্যর্থতার সমালোচনা করা হয়।’

এমজে/