নতজানু সরকার ক্ষমতায় থাকলে দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব থাকে না : রিজভী

নতজানু সরকার ক্ষমতায় থাকলে দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব থাকে না : রিজভী

নতজানু সরকার ক্ষমতায় থাকলে দেশের স্বাধীনতা থাকে না, সার্বভৌমত্ব থাকে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।

সোমবার সকালে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বাংলাদেশ সীমান্তে নিরীহ মানুষ হত্যার প্রতিবাদে বিএনপির পূর্বঘোষিত কালো পতাকা ও কালো ব্যাচ ধারণ কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, ‘গণবিরোধী সরকার ক্ষমতায় থাকলে যেমন গণতন্ত্র বিপন্ন হয়, তেমনি দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বও বিপন্ন হয়, নতজানু সরকার ক্ষমতায় থাকলে দেশের স্বাধীনতা থাকে না সার্বভৌমত্ব থাকে না। কিছু দিন পরপর বাংলাদেশের সীমান্তে আমাদের দেশের মানুষকে হত্যা করছে কিন্তু সরকার তার নতজানু নীতির কারণে একটা কড়া প্রতিবাদও করতে পারে না।

রিজভী বলেন, এমন একটি সরকারের অধীনে আমরা বসবাস করছি, দেশের জনগণ বসবাস করছে, আসলে দেশের স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্বকে বিক্রি করে দিয়েছে তারা। বাংলাদেশের মানুষের মানসম্মান সম্ভ্রম বলে আর কিছু নেই। এই দুর্যোগময় পরিস্থিতিতে আজকে আমাদের নিপতিত হতে হয়েছে। অর্থাৎ গত সাড়ে ১২ বছর পাঁচ শতাধিক মানুষকে হত্যা করা হয়েছে সীমান্তে। এখানে যদি সত্যিকারের জনগণের সরকার থাকত তাহলে কিন্তু এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে ভারতের বিএসএফের পাইকারিভাবে বাংলাদেশের মানুষকে হত্যার প্রতিবাদ করতে পারত। যেহেতু এই সরকারের গণভিত্তি নেই তাই তারা নতজানু হয়ে থাকে, অন্যের কাছে। আবার নিজের দেশের জনগণের ওপর তারা জুলুম চালায়।

রিজভী বলেন, ‘যারা সরকারের বিরোধিতা করে সমালোচনা করে তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেয় কারাগারে নিয়ে যায়, না হয় গুম করে না হলে বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার হতে হয়। অথচ অন্য দেশ এত অন্যায় করছে সেখানে কোনো ধরনের প্রতিবাদ নেই কোনো ধরনের কূটনৈতিক তৎপরতা নেই। তার মানে একটা মেরুদণ্ডহীন নতজানু সরকার ক্ষমতায় আছে বলেই এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সহ দফতর সম্পাদক মোঃ মুনির হোসেন, কেন্দ্রীয় নেতা কাজী রওনকুল ইসলাম টিপু, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক এজিএম শামসুল হক, বিএনপি নেতা আহসান ঊদ্দিন খান শিপন, শেখ আব্দুল হালিম খোকন, মাহবুব মাসুম শান্ত, এবিএম আব্দুর রাজ্জাক, আব্দুল আউয়াল, কাজী মনির প্রমুখ।

এমজে/