ফ্যাসিবাদী শাসন উচ্ছেদে শ্রমিকদের আন্দোলনের আহবান ৯ সংগঠনের

ফ্যাসিবাদী শাসন উচ্ছেদে শ্রমিকদের আন্দোলনের আহবান ৯ সংগঠনের

বর্তমান সরকারকে ফ্যাসিবাদী শাসক আখ্যায়িত করে তাদের ফ্যাসিবাদী শাসন উচ্ছেদ করে জনগণের গণতান্ত্রিক শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য শ্রমিকদের এক হয়ে আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছে ৯টি রাজনৈতিক সংগঠন।

শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে নয়টি সংগঠনের যৌথ আয়োজিত এক সমাবেশ থেকে এ আহ্বান জানানো হয়েছে।

৯ সংগঠনগুলো হলো- বাংলাদেশের সাম্যবাদী আন্দোলন, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল, নয়াগণতান্ত্রিক গণমোর্চা, জাতীয় গণফ্রন্ট, গণমুক্তি ইউনিয়ন, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক পার্টি, জাতীয় গণতান্ত্রিক গণমঞ্চ, বাসদ (মাহবুব) ও কমিউনিস্ট ইউনিয়ন।

সমাবেশে ৯ সংগঠনের সমন্বয়ক ও জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল সম্পাদক ফয়জুল হাকিম, বাংলাদেশের সাম্যবাদী আন্দোলন সমন্বয়ক শুভ্রাংশু চক্রবর্তী, নয়াগণতান্ত্রিক গণমোর্চা সভাপতি জাফর হোসেন, জাতীয় গণতান্ত্রিক গণমঞ্চ সভাপতি মাসুদ খান, জাতীয় গণফ্রন্ট নেতা কাওসার মনসুর ও গণমুক্তি ইউনিয়ন নেতা রেজাউল আলম, বাসদ (মাহবুব) নেতা মহিনউদ্দিন চৌধুরী লিটন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বক্তারা সমাবেশে বলেন, বাংলাদেশ আজ স্পষ্ট দুইভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। একদিকে দেশের শ্রমিক শ্রেণিসহ শ্রমজীবী জনগণ, অন্যদিকে লুটেরা সন্ত্রাসী দুর্নীতিবাজ ব্যবসায়ী শাসক শ্রেণি। জনগণের রাজনৈতিক স্বাধীনতা কেড়ে নিয়ে গঠিত জাতীয় সংসদ আজ পরিণত হয়েছে ব্যবসায়ীদের ক্লাবে। শ্রমিক কৃষক নিপীড়িত অপমানিত বঞ্চিত জাতি ও জনগণের মুক্তির জন্য তাই এই ব্যবসায়ী শোষক-শাসক শ্রেণির শাসন উচ্ছেদের সংগ্রামে শ্রমিক শ্রেণিকে নেতৃত্ব দিতে হবে।

মে দিবস শ্রমিক শ্রেণির আন্তর্জাতিক সংগ্রাম ও ঐক্যের দিন উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, দৈনিক কাজের ঘণ্টা নির্ধারণের রাজনৈতিক গুরুত্ব অনেক। ব্যক্তি মালিকানাধীন শিল্প কারখানায় শ্রমিকদের কর্মদিবস ১২ থেকে ১৬ ঘণ্টা হওয়ার ফলে শ্রমিকরা পর্যাপ্ত বিশ্রাম থেকে যেমন বঞ্চিত হন, তেমনি মালিকদের চরম শোষণের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করার চিন্তা ভাবনার কোনো সুযোগও তারা পান না। মে দিবসে ৮ ঘণ্টা কাজের দাবির সংগ্রাম তাই আজও গুরুত্বপূর্ণ। সরকার করোনাকালে ২৫টি রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল বন্ধ করে ৫০ হাজার শ্রমিককে কর্মচ্যুত করেছে। আবার এই সরকারই মে দিবসে শ্রমিকদের উদ্দেশে মিষ্টি মিষ্টি কথা বলে। আমরা প্রত্যেক শ্রমিককে নিয়োগপত্র, মনুষ্যোচিত মজুরি, ৮ ঘণ্টা কর্মদিবস, অবাধ ট্রেড ইউনিয়ন অধিকারের দাবিতে জাতীয় ভিত্তিতে শ্রমিক আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানাচ্ছি।