খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি দেয়নি সরকার

খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি দেয়নি সরকার

উন্নত চিকিৎসার জন্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে যাত্রার অনুমতি দেয়নি সরকার।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল রবিবার বলেন, ‘আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত অনুযায়ী তাদের (খালেদা জিয়ার পরিবারের) মতামত মঞ্জুর করতে পারছি না।’

বিকালে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের মন্ত্রী আরও বলেন, ‘আইন অনুযায়ী যতটুকু করণীয় ততটুকু করেছি। কিন্তু আইনের বাইরে গিয়ে আমরা কিছু করতে পারি না।’

একটি সূত্র জানিয়েছে, আইন মন্ত্রণালয় তাদের মতামতে বলেছে, সাজাপ্রাপ্ত কাউকে এ ধরনের সুযোগ দেওয়া যায় না। ফলে সাজাপ্রাপ্ত কেউ বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ পাবেন না।

গত ১১ এপ্রিল খালেদা জিয়ার করোনা শনাক্ত হয়। এরপর থেকে গুলশানের বাসা ‘ফিরোজা’য় তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এফ এম সিদ্দিকীর নেতৃত্বে চিকিৎসা শুরু হয়। করোনায় আক্রান্তের ১৪ দিন অতিক্রান্ত হওয়ার পর দ্বিতীয়বার খালেদা জিয়ার করোনা টেস্ট করা হয়। কিন্তু আবারও ফলাফল পজিটিভ আসে। এরপর ২৭ এপ্রিল রাতে তাকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরদিন খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য ১০ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়।

শ্বাসকষ্টজনিত কারণে গত সোমবার খালেদা জিয়াকে হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) স্থানান্তর করা হয়। এখনো তিনি সেখানেই আছেন। এর মধ্যেই পরিবারের পক্ষ থেকে খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেওয়ার জন্য আবেদন করা হয়। এটি আইন মন্ত্রণালয় হয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যায়।

এর আগে দুপুরে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আল্লাহর অশেষ মেহেরবানিতে ম্যাডামের (খালেদা জিয়ার) করোনা নেগেটিভ এসেছে। তার যে শারীরিক সমস্যাগুলো ছিল সেগুলো ক্রমান্বয়ে উন্নতি হচ্ছে। আজও একটু আগে চিকিৎসকদের সঙ্গে আমার কথা হয়। তারা জানিয়েছেন, ম্যাডামের শারীরিক অবস্থা ধীরে ধীরে উন্নতি হচ্ছে।’

এ সময় এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘করোনা এমন একটি রোগ, যেটি একজন বয়স্ক মানুষের জন্য অত্যন্ত উদ্বেগের কারণ। যাদের ডায়াবেটিস, কিডনি জটিলতা, উচ্চরক্তচাপ আছে তাদের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে ওঠে। খালেদা জিয়া করোনায় আক্রান্ত হওয়ার আজ এতদিন পরও আতঙ্কের বাইরে নয়। সেজন্য চিকিৎসকেরা উদ্বেগের সঙ্গে তার চিকিৎসা করছেন।’