যুবকটি কেন মোটরসাইকেল পুড়িয়েছে, প্রশ্ন মির্জা আলমগীরের

যুবকটি কেন মোটরসাইকেল পুড়িয়েছে, প্রশ্ন মির্জা আলমগীরের

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকার অর্থনীতিকে ধ্বংস করেছে। এরা আজকে পুরোপুরিভাবে একটা লুটেরা অর্থনীতি, একটা লুটেরা সমাজ তৈরি করছে। কী অবস্থা দেখেন, এই করোনার কারণে মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থা এত খারাপ হয়েছে যে, গতকাল (সোমবার) একজন যুবক তার মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দিয়েছে। কেন পুড়িয়েছে?

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে স্বাধীনতার সূবর্ণজয়ন্তী উদযাপন জাতীয় কমিটি ও বিষয়ভিত্তিক কমিটির এক সভায় বিএনপির মহাসচিব এসব কথা বলেন।

তিনি দাবি করেন, সরকারের লুটেরা অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় মানুষের হতাশা চরম পর্য়ায়ে।

সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) মোটরসাইকেল পোড়ানো যুবকের প্রসঙ্গ তুলে ফখরুল বলেন, ‘‘সে বলছে যে, আমি একটা সিরামিক্সের দোকান করতাম। সেটা করোনার কারণে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আমি আমার সঞ্চিত অর্থ দিয়ে একটা মোটরসাইকেল কিনে রাইড শেয়ারিং কাজ করার চেষ্টা করছি। সেখানে আমাকে প্রতি পদে পদে বাধা দেওয়া হচ্ছে— অমুক সার্টিফিকেট লাগবে, তমুক সার্টিফিকেট লাগবে। তার চেয়ে পুড়িয়ে ফেলি।’ এটা কখন হয়? যখন হতাশার চরম পর্যায় গিয়ে পৌঁছে মানুষ। আজকে সেই অবস্থায় গিয়ে আমরা পৌঁছেছি।’’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে হলে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে আমাদের লক্ষ্য ছিল এখানে একটা বহুদলীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা, মানুষের কথা বলার স্বাধীনতা এবং একইসঙ্গে এ দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব অক্ষুণ্ণ রাখা, যেটা আমাদের দলের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মূল কথা ছিল, সেটা আমাদের প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘এগুলোর জন্য আমাদেরকে সংগ্রাম করতে হবে, লড়াই করতে হবে এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে এই লড়াইয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে হবে। আমাদের সূবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের লক্ষ্য এই হওয়া উচিত, যাতে করে আমরা সেদিকে যেতে পারি।’

আওয়ামী লীগ দেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘আমাদেরকে সঠিক ইতিহাস নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে।’

জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক খন্দকার মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে সদস্য সচিব আবদুস সালামের সঞ্চালনায় সভায় নেতারা স্বাধীনতার সূবর্ণজয়ন্তীর বছরব্যাপী কর্মসূচি পুনরায় শুরুর বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। এতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান শাহজাহান ওমর, বরকত উল্লাহ বুলু, আবদুল আউয়াল মিন্টু, অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমান উল্লাহ আামান, গাজী মাজহারুল আনোয়ার, ইসমাইল জবিহউল্লাহ, ফরহাদ হালিম ডোনার, বিজন কান্তি সরকার, অধ্যাপক আফম ইউসুফ হায়দার, আবদুল হাই শিকদার, কেন্দ্রীয় নেতা সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, শামা ওবায়েদ, অধ্যাপক এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, অবসরপ্রাপ্ত কর্ণেল জয়নাল আবেদীন, রিয়াজুল ইসলাম রিজু, আশরাফউদ্দিন উজ্জ্বল, আমিনুল হক, জহিরউদ্দিন স্বপন, মনীষ দেওয়ান, মার্শেল এম চিরমা, এবং অধ্যাপক হারুন আল রশিদ উপস্থিত ছিলেন।