পদ্মা সেতুর প্রাথমিক সম্ভাব্যতা যাচাই খালেদা জিয়ার আমলে: বিএনপি

পদ্মা সেতুর প্রাথমিক সম্ভাব্যতা যাচাই খালেদা জিয়ার আমলে: বিএনপি

পদ্মা সেতুর প্রাথমিক ফিজিবিলিটি (সম্ভাব্যতা যাচাই) খালেদা জিয়ার আমলেই হয়েছিল বলে দাবি করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ মঙ্গলবার বিকেলে ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ দাবি করেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘পদ্মা সেতুর প্রাথমিক ফিজিবিলিটি (সম্ভাব্যতা যাচাই) খালেদা জিয়ার আমলেই শুরু হয়। সেই সালটা ছিল ২০০৪-০৫। জাপান, বিশ্বব্যাংক এবং এশিয়া ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের সঙ্গে আলোচনা হয়। এই আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে ফিজিবিলিটি রিপোর্ট তৈরি হয়। সেখানেই সাড়ে আট হাজার কোটি টাকা প্রাথমিক খরচ ধরা হয়। এ বিষয়গুলো আপনারা একটু পড়াশোনা করলেই জানতে পারবেন। ওই সময়ের সমকালীন সময়গুলো দেখলেই বুঝতে পারবেন।’

পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে খালেদা জিয়াকে আমন্ত্রণ জানানোর বিষয়ে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের প্রসঙ্গে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘ওবায়দুল কাদের সাহেবের নেত্রী বলেছেন, “খালেদা জিয়াকে যদি পদ্মা সেতুতে নিয়ে টুস করে ফেলে দেওয়া হয়, তাহলে ঠিক হয়।” সেখানে একজনকে হত্যার জন্য হুমকি দেবেন, আর সেই হত্যার মুখে তিনি সেই অনুষ্ঠানে যাবেন; এটা মনে করার কোনো কারণ নেই।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমাদের যেটা মূল বক্তব্য, পদ্মা সেতুর নির্মাণ নিয়ে না। পদ্মা সেতুর যে প্রকৃত নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছিল সাড়ে ৮ হাজার থেকে ১০ হাজার কোটি টাকা। সেটা ৩০ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। আমাদের প্রশ্ন সেখানে, ৩০ হাজার কোটি টাকা কীভাবে ব্যয় হলো? যেটা সাড়ে ৮ হাজার ১০ হাজার কোটি টাকায় তৈরি হতে পারত।’ তিনি বলেন, ‘পৃথিবীর কোথাও এত ব্যয়বহুল সেতু নির্মাণ করা হয়েছে বলে আমাদের জানা নেই। সম্ভবত যাঁরা এই নির্মাণকাজের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আছেন, তাঁদেরও জানা নেই।’

খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে বিএনপি রাজনীতি করছে—আওয়ামী লীগের নেতাদের এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই সরকারের মন্ত্রীরা কে কী বলেন, তার কোনো অর্থই বহন করে না। কুমিল্লা সিটি নির্বাচনে একজন সংসদ সদস্যকে সেখান থেকে বের করতে নির্বাচন কমিশনের ব্যর্থতা প্রসঙ্গে যদি আজ প্রশ্ন করতেন, তবে তা আমার কাছে অর্থবহ মনে হতো। একজন সংসদ সদস্যকে নির্বাচনী বিধি অনুযায়ী নির্বাচনী এলাকা থেকে বাইরে নিয়ে আসার ক্ষমতা যে কমিশনের নেই, সেই কমিশন কীভাবে ভবিষ্যৎ নির্বাচনের পরিচালনা করবে? আমরা সব সময় বলে আসছি, এই নির্বাচন কমিশন কিছুই করতে পারবে না, যদি সরকারের পরিবর্তন না হয়। নির্বাচনের সময়ে নিরপেক্ষ সরকার না থাকলে কোনো নির্বাচন কমিশনের পক্ষে নিরপেক্ষ থাকা সম্ভব নয়।’

এ সময় জেলা বিএনপির সভাপতি মো. তৈমূর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সল আমীন, সহসভাপতি আবু তাহের, অর্থ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম, জেলা মহিলা দলের সভাপতি ফোরাতুন নাহার, সাধারণ সম্পাদক নাজমা পারভিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।