জনগণকে অভুক্ত রেখে পদ্মা সেতু নিয়ে উৎসব করছে সরকার:বিএনপি

জনগণকে অভুক্ত রেখে পদ্মা সেতু নিয়ে উৎসব করছে সরকার:বিএনপি

দেশের জনগণকে অভুক্ত রেখে সরকার পদ্মা সেতু নিয়ে উৎসব করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, বন্যায় মানুষ ভেসে যাচ্ছে, খাবার পাচ্ছে না, চিকিৎসা পাচ্ছে না। সেদিকে সরকারের কোনো নজর নেই।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার বন্যাদুর্গত এলাকা পরিদর্শন ও বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন বিএনপির মহাসচিব।

উপজেলার দরবস্ত ইউনিয়নের গর্দনা এলাকার খাজার মোকাম উচ্চবিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্রে জেলা বিএনপির উদ্যোগে এ ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়।

এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ। সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী এবং সঞ্চালনায় ছিলেন সাধারণ সম্পাদক এমরান আহমদ চৌধুরী।

এর আগে বিএনপির নেতারা হজরত শাহজালাল (রহ.) ও হজরত শাহপরান (রহ.)-এর মাজার জিয়ারত করেন। বিকেলে সিলেট নগরের বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শনের কথা রয়েছে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের।

জনগণের সঙ্গে আওয়ামী লীগের সম্পর্ক নেই মন্তব্য করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ক্ষমতাসীন দল সিলেটবাসীর এই দুঃসময়ে তাঁদের পাশে নেই। দুই দিন আগে প্রধানমন্ত্রী সিলেটে এসে হেলিকপ্টারে ঘুরে গেছেন। তিনি সার্কিট হাউসে এসে মন্ত্রী-সংসদ সদস্যসহ বড় বড় কর্মকর্তাদের সঙ্গে মিটিং করেছেন। আর সাতজন মানুষকে নিয়ে গিয়ে লোকদেখানো সাতটা প্যাকেট ত্রাণ তুলে দিয়েছেন। বন্যার পানিতে লাখ লাখ মানুষ পানিবন্দী হয়ে আছেন, অথচ তাঁদের কোনো কিছু দেননি তিনি।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, মাওয়ায় ৯ কোটি টাকা দিয়ে ৯০টি শৌচাগার তৈরি হয়েছে। এই টাকা যদি সিলেটের বন্যার্তদের দেওয়া হত, তাহলে মানুষকে এত দুর্ভোগ পোহাতে হতো না। আওয়ামী লীগ যত দিন ক্ষমতায় থাকবে, তত দিন তারা মানুষের জন্য কোনো কাজ করবে না।

এই সরকারকে ক্ষমতা থেকে বিতাড়িত করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ২০০৪ সালের বন্যায় বিএনপির চেয়ারপারসন ও তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া মানুষের দ্বারে দ্বারে গিয়ে খাদ্যসহায়তা দিয়েছেন। আজ আওয়ামী লীগ সরকার তাঁকে মিথ্যা মামলা দিয়ে গৃহবন্দী করে রেখেছে।