মিডিয়ার সামনে বিএনপির হুঙ্কার বৃদ্ধি পাচ্ছে: কাদের

মিডিয়ার সামনে বিএনপির হুঙ্কার বৃদ্ধি পাচ্ছে: কাদের

বিএনপির রাজপথের শক্তি যত ম্লান হচ্ছে, ততই মিডিয়ার সামনে তাদের হুঙ্কার বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

আজ শনিবার এক বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে সেতুমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।

বিবৃতিতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের মাধ্যমে বিএনপি মানসিক দেউলিয়াত্বের চিত্র ফুটে উঠেছে। বিএনপি মহাসচিব বারবার নির্বাচনে না আসার মতো শিশুসুলভ বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন।’

‘আওয়ামী লীগ বারবার বলে যাচ্ছে দেশের সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়েই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে’ উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের তাঁর বিবৃতিতে বলেন, ‘নির্বাচনে জনগণের ভোটের রায়ে ক্ষমতার পরিবর্তন হবে। কোন শর্ত দিয়ে নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে বাক্সবন্দি করার ষড়যন্ত্র ও অগণতান্ত্রিক অশুভ অপশক্তির হাতে রাষ্ট্রক্ষমতা প্রত্যাবর্তন জনগণ মেনে নেবে না।’

কাদের বলেন, ‘বিএনপি তার অতীত কর্মকাণ্ডের জন্য জনগণের মুখোমুখি হতে ভয় পায় বলেই তারা সাংবিধানিক পন্থার ব্যত্যয় ঘটিয়ে পিছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতা দখলের দিবাস্বপ্নে নিমজ্জিত হয়ে আছে। বিএনপি দেশবাসীকে স্বৈরশাসন, দুর্নীতি-লুটপাট-সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ ও উগ্র-সাম্প্রদায়িকতা ব্যতীত ভালো কিছু উপহার দিতে পারেনি।’

বিএনপি ক্ষমতাকে নিষ্কণ্টক করতে বিএনপির শীর্ষ নেতৃবৃন্দের প্রত্যক্ষ মদদ ও পৃষ্ঠপোষকতায় তৎকালীন প্রধান বিরোধীদল আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য ২১ আগস্ট নারকীয় গ্রেনেড হামলা চালানো হয়েছিল উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি যখনই ক্ষমতায় এসেছে, তখনই তাদের রাষ্ট্রীয় ফ্যাসিবাদের আগ্রাসী রূপ দেশের জনগণকে দুঃশাসন ও শোষণের যাঁতাকলে পিষ্ট করেছে।’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপির আমলে দেশে কোনো উন্নয়ন অগ্রগতি হয়নি বলেই আজকে দেশের অভূতপূর্ব উন্নয়ন দেখে বিএনপির গা জ্বালা করছে। একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি নেতারা দায়িত্বশীল আচরণ করবে এবং জনগণের স্বার্থ পরিপন্থী কর্মকাণ্ড পরিহার করবে। অন্যথায়, বাংলাদেশের জনগণ বিএনপিকে ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত করবে।’