মুন্সিগঞ্জে সংঘর্ষ: হাইকোর্টে বিএনপির ১৭৭ নেতাকর্মীর জামিন

মুন্সিগঞ্জে সংঘর্ষ: হাইকোর্টে বিএনপির ১৭৭ নেতাকর্মীর জামিন

মুন্সিগঞ্জে বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষের ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা হয়। এ মামলায় বিএনপির ১৭৭ নেতাকর্মীকে আগাম জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।

তাদের ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন দিয়ে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

রোববার (২ অক্টোবর) হাইকোর্টের বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন বিএনপির জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মো. ফজলুর রহমান। তার সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. কামাল হোসেন। জামিনের বিষয়টি নিশ্চিত করেন এই আইনজীবী।

এর আগে সোম ও মঙ্গলবার (২৬ ও ২৭ সেপ্টেম্বর) দুদিনে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় বিএনপির তিন শতাধিক নেতাকর্মীর আগাম জামিন চেয়ে আবেদন করা হয়।

আইনজীবী মো. কামাল হোসেন জানান, মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার মুক্তারপুর পুরোনো ফেরিঘাট এলাকায় বিএনপি ও পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় দুটি পৃথক মামলা হয়। এতে আসামি করা হয় বিএনপি নেতাকর্মীদের। এরপর সোম ও মঙ্গলবার দু’দফায় আমরা তিনশতাধিক আসামির আগাম জামিন আবেদন করি।

এর আগে জ্বালানি তেলসহ নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি এবং ভোলা ও নারায়ণগঞ্জে বিএনপির তিন নেতাকর্মী নিহতের প্রতিবাদে মুন্সিগঞ্জের মুক্তারপুরে বিক্ষোভ কর্মসূচি করে বিএনপি। ওইদিন বিকেল ৩টার দিকে পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচিতে যোগ দিতে বিভিন্ন উপজেলা থেকে আসা নেতাকর্মীরা মুক্তারপুর মোড়ে জড়ো হতে থাকেন। পুলিশ বাধা দিলে তারা মুক্তারপুর থেকে ট্রাকে পুরোনো ফেরিঘাট এলাকায় যান।

সেখানে বিভিন্ন এলাকা থেকে ছোট ছোট মিছিল নিয়ে নেতাকর্মীরা আসতে শুরু করেন। এসময় সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিনহাজুল ইসলাম একটি মিছিলের ব্যানার ধরে টান দিলে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।

এ সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য ও বিএনপির অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হন। তাদের মধ্যে শহিদুল ইসলাম সাওন নামে যুবদলকর্মী চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

এরপর ২২ সেপ্টেম্বর সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দুটি পৃথক মামলা হয়। মামলা দুটিতে আসামি করা হয় এক হাজার ৩৬৫ জনকে। এর মধ্যে বিএনপির নেতাকর্মী ও অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি আছেন। দুটি মামলায় ২৬ জনকে গ্রেফতার করে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ জানায়, একটি মামলায় মুন্সিগঞ্জ সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাইনউদ্দিন বাদী হয়ে সরকারি অস্ত্র, গুলি লুট ও মোটরসাইকেল পোড়ানোর অভিযোগে ৩১৩ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতপরিচয় ৭০০-৮০০ জনকে আসামি করে মামলা করেন।

এ মামলায় প্রধান আসামি করা হয় জেলা বিএনপির সদস্যসচিব কামরুজ্জামান রতনকে। মামলায় ২৪ জনকে গ্রেফতার দেখিয়ে এরই মধ্যে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।