রাষ্ট্রদূতদের বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার আহবান হাছানের

রাষ্ট্রদূতদের বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার আহবান হাছানের

নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন রাষ্ট্রদূতের মন্তব্য প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ‘এটি তো নতুন নয়, যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য যারা রাষ্ট্রদূত ছিল, তারাও এ নিয়ে কথা বলেছে এবং অন্যান্য দেশের রাষ্ট্রদূতরাও এ নিয়ে কথা বলে। আমরা তো তাদের সাথে একমত। আমরা স্বচ্ছ এবং অংশগ্রহণমূলক একটি নির্বাচন চাই এবং এটি শুধুমাত্র সরকারি দলের দায়িত্ব না, এ দায়িত্ব কিন্তু সব দলের।’

‘যারা এ নিয়ে বক্তব্য রাখছেন, আশা করি তাদের সেই বক্তব্যগুলো বিএনপিসহ যারা সংঘাতময় পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা চালায়, তাদের কানে পৌঁছুবে এবং নির্বাচন কমিশনের অধিনে একটি অংশগ্রহণমূলক স্বচ্ছ নির্বাচন করার ক্ষেত্রে তারা সহায়তা করবে। বিদেশি রাষ্ট্রদূতরা অবশ্যই আমাদের নির্বাচন নিয়ে পরামর্শ দিতে পারেন, সেটি যেন অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের মতো না হয়, একইসাথে কূটনৈতিক শালীনতা যেন লঙ্ঘন না হয়।’

সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক নাসিমের কাছ থেকে কাউন্সিলের বার্ষিক প্রতিবেদন ২০২১ গ্রহণ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপির সংলাপ নিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপির সংলাপে ডানপন্থী-বামপন্থী, অতি ডান-অতি বামরা ছিল। আবার মাইক্রোস্কোপিক দলগুলোও ছিল, যেমন এবার তারা বৈঠক করেছে কল্যাণ পার্টির সাথে। আনুবীক্ষণিক দলের সাথে বৈঠক করে যখন তারা বলে যে, বৃহত্তর ঐক্য গঠন করবে, তখন মানুষ হাসে।’

‘কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান আছে, মহাসচিব যে কে আমি জানি না। মির্জা ফখরুল সাহেব জানেন কি না, তাও আমি জানি না। এ ধরণের দলের সাথে বৈঠক কিছু সংখ্যক সংবাদ পরিবেশন করা ছাড়া অন্য কোন কিছু নয়।’

‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে বিএনপির চেয়ে এক ডিগ্রি বেশি করেছে’‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে বিএনপির চেয়ে এক ডিগ্রি বেশি করেছে’

প্রেস কাউন্সিলের সদস্যদের মধ্যে শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন এমপি, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা, দি ডেইলি অবজারভার সম্পাদক ইকবাল সোবহান চৌধুরী, দৈনিক যুগান্তর সম্পাদক সাইফুল আলম, দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি সম্পাদক এম জি কিবরিয়া চৌধুরী, বিএফইউজের দপ্তর সম্পাদক সেবিকা রাণী, প্রেস কাউন্সিল সচিব শাহ আলম এসময় উপস্থিত ছিলেন।

এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপির উদ্দেশ্য হচ্ছে একটি সংঘাতময় পরিস্থিতি তৈরি করা। তারা ২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালে, ২০১৮ সালে নির্বাচনের আগে সংঘাতময় পরিস্থিতি তৈরি করেছিল, এখনও চেষ্টা করছে। তারা উস্কানিমূলকভাবে তাদের কর্মীদের লেলিয়ে দিচ্ছে পুলিশ এবং সাধারণ জনগণের ওপর।’

‘তাদেরই ইটের আঘাতে তাদের বেশ কয়েকজন কর্মী আহত হয়েছে, মৃত্যুবরণও করেছে। তারা এ ধরণের ঘটনা ঘটাবে, নিজেরা নিজেদের কর্মীদের মারবে, মেরে পুলিশের ওপর দায় চাপাবে, সরকারের ওপর দায় চাপানোর চেষ্টা করবে।’

আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সংযত আর সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে জানিয়ে দলের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘পুলিশও বিএনপির যুদ্ধংদেহী মনোভাব, সংঘাতের অপচেষ্টাকে অত্যন্ত সংযতভাবে মোকাবিলা করছে। কিন্তু বিএনপি যদি এটি অব্যাহত রাখে জনগণ তাদেরকে আবারও আগে যেভাবে প্রতিহত করেছিল তাই করবে।’