সরকার একের পর এক গণবিরোধী সিদ্ধান্ত নিচ্ছে: নজরুল ইসলাম খান

সরকার একের পর এক গণবিরোধী সিদ্ধান্ত নিচ্ছে: নজরুল ইসলাম খান

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, দেশের মানুষ এমনিতেই কষ্টে আছে। যেখানে জনগণ দুঃসময়ের ভয় পাচ্ছে। সেখানে সরকার একের পর এক গণবিরোধী সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। কদিন আগেই বিদ্যুতের দাম বাড়ালো। এখন আবারো গ্যাসের দাম বাড়িয়েছে। শিল্পখাতে গ্যাসের দাম বাড়িয়েছে। এর যোগান গরিব মানুষকেই দিতে হবে।

আজ শুক্রবার সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের (জেডআরএফ) উদ্যোগে পথশিশুদের মাঝে খাবার ও অসহায় নারীদের মাঝে শাড়ি বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৮৭তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

জনগণের প্রতি সরকারের দায়িত্বহীনতা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আজকে খাদ্য নিয়ে জাহাজ ঘুরছে, তাদের টাকা পরিশোধ করতে পারেনি। মানুষের চাকরি হচ্ছে না। কর্মসংস্থান নেই।

এরমধ্যেই গ্যাসের দাম বাড়িয়ে শিল্পখাতকে আরও বিপদে ফেলা হলো। সুতরাং বাংলাদেশ আরো কঠিন সংকটে পড়ার আগেই আমাদেরকে লড়াই করে একটি গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

নজরুল ইসলাম খান বলেন, আজকে দেশ চরম দুঃসময় পার করছে। একটি অনির্বাচিত সরকার; যাদের দেশের জনগণের কাছে কোনো জবাবদিহিতা নেই। একদিকে কিছু লোক অর্থ লুট করে কোটিপতি বনে গেছে। অন্যদিকে কয়েক কোটি লোক দরিদ্র হয়েছে। শিশুরাও দরিদ্র হয়েছেন।

বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে কারাবন্দী করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আজকে আমাদের দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কারাবন্দী করা হয়েছে মিথ্যা মামলার রায়ে। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও দেশে আসতে পারছেন না। আসলে যারা দরিদ্র মানুষকে ভালোবাসেন, দেশকে ভালোবাসেন তাদেরকে কারাগারে আটক রেখে লুটেরাদেরকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। ক্ষমতাসীন দলের লোকদের বিদেশে কি পরিমাণ সম্পদ! একটি জেলার ছাত্রলীগের নেতা দুই হাজার কোটি টাকা পাচার করেছেন। এভাবে একটি দেশ চলতে পারেনা।

তিনি আরও বলেন, আমরা একটি বাসযোগ্য দেশ গড়ার লক্ষ্যে আমরা আন্দোলন সংগ্রাম করে যাচ্ছি। এজন্য আমাদের অসংখ্য নেতাকর্মী আজকে কারাগারে।

নজরুল ইসলাম খান সরকারের উদ্দেশে বলেন, ক্ষমতা ছেড়ে দেন। বিএনপি ঠিকই বের করবে কারা ব্যাংক লুট করেছে। তাদের নাম প্রকাশ করা হবে। যারা এর পেছনে জড়িত তাদেরকে সামনে আনা হবে। আমরা অনেক রক্তের বিনিময়ে বাংলাদেশ স্বাধীন করেছি। অনেক মা বোনের ইজ্জত ও রক্তের বিনিময়ে। আজকে দেশটাকে নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হচ্ছে।

সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার বলেন, প্রতিষ্ঠার পর থেকেই জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন গরিব অসহায় মানুষের পাশে থেকে বিভিন্ন ধরনের সহযোগিতা করে আসছে। বিশেষ করে জেডআরএফের প্রেসিডেন্ট তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিপদে আপদে ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ যেমন-বন্যা, জলোচ্ছ্বাসের মতো সংকটকালে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়ে আসছে। গরিব ও অসহায় মানুষের পাশে থেকে বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা দেয়া হয়ে থাকে। আজকেও প্রচন্ড শীতে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হচ্ছে। এভাবেই জেডআরএফ দেশ ও জনগণের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। আগামীতেও সেবামূলক কাজ অব্যাহত রাখবে ইনশাআল্লাহ।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ডা. আহমেদ শফিকুল হায়দার পারভেজ, অধ্যাপক ড. লুৎফর রহমান, কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, অ্যাডভোকেট আবেদ রাজা, ডা. পারভেজ রেজা কাকন, প্রকৌশলী মাহবুব আলম, প্রকৌশলী মো. হানিফ, প্রকৌশলী কেএম আসাদুজ্জামান চুন্নু, কৃষিবিদ শফিউল আলম দিদার, প্রকৌশলী উমাশা উমায়ন মনি চৌধুরী, কৃষিবিদ কৃষিবিদ আবদুর রহমান নূরী, সানোয়ার আলম, অধ্যাপক ড. আবু জাফর, বিপ্লবুজ্জামান বিপ্লব, শামীমা রহিম, শফিকুল ইসলাম, প্রকৌশলী মেহেদী হাসান সোহেলসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।