আড়াইহাজারে বিএনপির ৫০ নেতাকর্মীসহ ২০০ জনের বিরুদ্ধে পুলিশের মামলা

আড়াইহাজারে বিএনপির ৫০ নেতাকর্মীসহ ২০০ জনের বিরুদ্ধে পুলিশের মামলা

নাশকতা ও সরকারি কাজে বাধা এবং হামলার অভিযোগে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে বিএনপির ৫০ নেতাকর্মী ও অজ্ঞাত অন্তত ১৫০ জনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনে মামলা করেছে পুলিশ।

শনিবার রাতে পুলিশের উপপরিদর্শক নূর আলম বাদী হয়ে আড়াইহাজার থানায় মামলাটি দায়ের করেন।

এ মামলায় বিএনপি কর্মী ইয়াকুবকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়ছেন আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুল হক।

তিনি বলেন, 'গত শনিবার দুপুরে আড়াইহাজারের পাঁচরুখী এলাকায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি, ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। এতে বাধা দিলে পুলিশের ওপর হামলা চালায় তারা।

'ঘটনাস্থল থেকে বিস্ফোরিত ককটেলের অংশ, লাঠি, বাঁশ ও ইটের টুকরা জব্দ করা হয়েছে,' বলেন তিনি।

পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান, বিস্ফোরক আইনের ওই মামলায় বিএনপির সহআন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ, জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম-আহ্বায়ক লুৎফর রহমান আবদুসহ ৫০ জনের নাম উল্লেখ ও আরও ১০০-১৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকেই ইয়াকুবকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার ইয়াকুব (২৫) আড়াইহাজার থানা যুবদলের সদস্যসচিব খোরশেদ আলমের ছোটভাই বলে জানিয়েছে বিএনপি।

গতকাল শনিবার দুপুর সোয়া ১টার দিকে কেন্দ্রঘোষিত পদযাত্রা কর্মসূচির অংশ হিসেবে উপজেলার সাতগ্রাম ইউনিয়ন বিএনপি মিছিল বের করলে পাঁচরুখী এলাকায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে। পরে উভয়পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে পুলিশ গুলি ও কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে। পাল্টা ইট-পাটকেল ছোড়ে বিএনপির নেতা-কর্মীরা। এতে বিএনপির ১০ জন এবং পুলিশের ৩ জন আহত হন।

বিএনপির অভিযোগ, তাদের শান্তিপূর্ণ পদযাত্রা কর্মসূচিতে পুলিশ বাধা দিয়েছে। তবে পুলিশ বলছে, মহাসড়কে যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করার অনুরোধ জানালে বিএনপি নেতা-কর্মীরা পুলিশের ওপর চড়াও হয়।

পুলিশের মামলার প্রতিক্রিয়ায় জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম-আহ্বায়ক লুৎফর রহমান আবদু বলেন, 'আমরা শান্তিপূর্ণ পদযাত্রা করছিলাম। পাঁচরুখী বাজার থেকে কিছুটা দূরে মসজিদের সামনে গিয়েই পদযাত্রা শেষ করার কথা ছিল। অথচ তার মধ্যেই পুলিশ আমাদের বাধা দিয়ে লাঠিপেটা শুরু করে, গুলি ও টিয়ারগ্যাস ছোড়ে। আবার আমাদের নামেই মামলা দিয়েছে। বিএনপি নেতারা এই হামলা-মামলা নিয়েই টিকে আছে।'

তিনি আরও বলেন, 'গ্রেপ্তার ইয়াকুব বিএনপি করে না। তার বড়ভাই যুবদলের সদস্যসচিব। তাকে অযথা চায়ের দোকান থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।'