নিরপেক্ষ সরকারের অধীন নির্বাচন, নয়তো রাজপথে ফয়সালা: খন্দকার মোশাররফ

নিরপেক্ষ সরকারের অধীন নির্বাচন, নয়তো রাজপথে ফয়সালা: খন্দকার মোশাররফ

কোনো ধরনের ষড়যন্ত্র ও ছলচাতুরি করে জনগণকে বিভ্রান্ত করা যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

খন্দকার মোশাররফ বলেছেন, বর্তমান সরকারের অধীনে বিএনপি ও এর সঙ্গে যুগপত আন্দোলনে অংশ নেওয়া কোনো দল নির্বাচনে যাবে না। নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীন নির্বাচন না দিলে রাজপথে ফয়সালা হবে।

আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর উত্তরায় বিএনপির ১০ দফা দাবিতে পদযাত্রা কর্মসূচি শুরু হওয়ার আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে খন্দকার মোশাররফ এসব কথা বলেন।

বর্তমান সরকার গায়ের জোরে ক্ষমতায় আছে অভিযোগ করে খন্দকার মোশাররফ বলেছেন, গায়ের জোরের সরকারের পক্ষে সুষ্ঠু নির্বাচন দেওয়া সম্ভব না। এ সরকারের অধীন কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক হবে না। বর্তমান সরকার গণতন্ত্রকে হত্যা ও‌ দেশের অর্থনীতি ধ্বংস করেছে।

সরকারকে পদত্যাগের আহ্বান জানিয়ে বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, সংসদ বাতিল করতে হবে, নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীন নির্বাচন দিতে হবে।

বিএনপির কর্মসূচির দিন আওয়ামী লীগের কর্মসূচি ঘোষণার সমালোচনা করে এই নেতা বলেন, ‘আমরা কর্মসূচি ঘোষণা করলে শান্তির নামে সমাবেশ করে আওয়ামী লীগ। এমন পাল্টা কর্মসূচি দেওয়া আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক দৈন্যতা। রাজনৈতিক দেউলিয়াত্বের কারণেই পাল্টা কর্মসূচি দেয় দলটি।’

বিএনপির কর্মসূচির দিন আওয়ামী লীগের কর্মসূচি ঘোষণার সমালোচনা করে এই নেতা বলেন, ‘আমরা কর্মসূচি ঘোষণা করলে শান্তির নামে সমাবেশ করে আওয়ামী লীগ। এমন পাল্টা কর্মসূচি দেওয়া আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক দৈন্যতা। রাজনৈতিক দেউলিয়াত্বের কারণেই পাল্টা কর্মসূচি দেয় দলটি।’

এদিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মঈন খান বলেন, বর্তমান সরকার জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে না। বিগত কয়েকটি নির্বাচনের মাধ্যমে বর্তমান সরকার জনগণকে ধোকা দিয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, ‘আগামীতে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন হতে হবে।’ সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘সরকার প্রকল্পের নামে মেগা দুর্নীতি করেছে। উন্নয়নের নামে নিজেদের উন্নয়ন করেছে। দেশের মানুষের গণতন্ত্র হরণ করেছে।’

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, এই সরকার অচিরেই পদত্যাগ করতে বাধ্য হবে।’ জ্বালানি খাতে সরকারের ভর্তুকি দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘চুরি বন্ধ করলে ভর্তুকি দেওয়ার প্রয়োজন হবে না।’

পদযাত্রা কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানুল্লাহ আমান। তিনি বলেন, ‘১৮ এর নির্বাচনের মতো আরেকটি নির্বাচন বাংলাদেশের জনগণ হতে দেবে না।’ সংবিধান সংশোধন করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ধারা সংবিধানে যুক্ত করতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘অন্য কোনো কথা চলবে না।’ গণ–আন্দোলনের মাধ্যমে বর্তমান সরকারের পতন ঘটনারও ঘোষণা দেন আমানুল্লাহ আমান।

সমাবেশ সঞ্চালনা করেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্যসচিব আমিনুল হক।

সমাবেশ শেষে বেলা সাড়ে তিনটার দিকে উত্তরার জসিম উদ্দিন মোড় থেকে পদযাত্রা শুরু করেন বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা–কর্মীরা। পদযাত্রাটি উত্তরার বিভিন্ন সড়ক ঘুরে বিকেল সাড়ে চারটার দিকে সোনারগাঁও জনপথ মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। এতে কয়েক হাজার নেতা–কর্মী অংশ নেন।

এই কর্মসূচি উপলক্ষে উত্তরার বিভিন্ন মোড়ে পুলিশের সতর্ক অবস্থান দেখা গেছে। কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।