বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষের ঘটনায় ৪ মামলা, এ্যানিসহ আসামি ৩৫০০

বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষের ঘটনায় ৪ মামলা, এ্যানিসহ আসামি ৩৫০০

লক্ষ্মীপুরে পুলিশ ও বিএনপির সংঘর্ষের ঘটনায় সদর থানায় ৪টি মামলা দায়ের করা হয়েছে । মামলায় আসামি করা হয়েছে ৩৫০০। এর মধ্যে পুলিশ বাদী হয়ে বিস্ফোরক দ্রব্য ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে এবং পুলিশের কাজে বাধা ও পুলিশকে আহত করার ঘটনায় দুইটি মামলা দায়ের করেছে।

এই দুই মামলায় বিএনপির প্রচার সম্পাদক ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানীকে প্রধান আসামি করে ৫৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত নামা আরও ৩০০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে ।

এদিকে হত্যার ঘটনায় নিহত সজিবের ভাই মো. সুজন হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা একাধিক আসামিদের বিরুদ্ধে পৃথক মামলা দায়ের করে। অপরদিকে জেলার কমলনগর উপজেলার সাধারণ সম্পাদক অ্যঅডভোকেট নুরুল আমিন রাজু’র লক্ষ্মীপুর শহরস্থ বাড়ি ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ৩০০ জনের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে আরেকটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

পুলিশ জানায়, বুধবার (১৯ জুলাই) রাতে সদর থানা পুলিশের এসআই আনিছুর রহমান বাদি হয়ে বিস্ফোরক দ্রব্য ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের করে। এ মামলায় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানিকে প্রধান আসামি করে ৩০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। এতে অজ্ঞাতনামা আরও ১৫০০ জনকে আসামি করা হয়।

পৃথক আরেকটি মামলায় সদর থানার এস লআই মোজাম্মেল হোসেন বাদি হয়ে পুলিশের কাজে বাধা ও পুলিশকে আহত করার ঘটনায় বিএনপির একই নেতাকে প্রধান আসামি করে ২৫ জনের নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাতনামা আরও ১৫০০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করে।

এছাড়া হত্যার ঘটনায় নিহত সজিবের ভাই মো. সুজন হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা একাধিক আসামিদের বিরুদ্ধে পৃথক মামলা দায়ের করে।

অপরদিকে জেলার কমলনগর উপজেলার সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নুরুল আমিন রাজু’র লক্ষ্মীপুর শহরস্থ বাড়ি ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ৩০০ জনের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে আরেকটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

লক্ষ্মীপুরের পুলিশ সুপার মো. মাহাফুজ্জামান আশরাফ বলেন, পৃথক চারটি মামলায় মোট ৫৫ জনের নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাতনামা আরও ৩ হাজার জনকে আসামি করা হয়েছে। এসব মামলায় উল্লেখিত আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।