সরকারের হাতে দেশ নিরাপদ নয়: নুর

সরকারের হাতে দেশ নিরাপদ নয়: নুর

বর্তমান সরকারের হাতে দেশ ও জনগণ নিরাপদ নয় বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর।

শুক্রবার বিকেলে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে গণঅধিকার পরিষদের উদ্যোগে বিক্ষোভ সমাবেশে এ মন্তব্য করেন তিনি। সমাবেশ শেষে কার্যালয়ের সামনে থেকে গণমিছিল বের হয়। মিছিলটি ফকিরাপুল, নয়াপল্টন, নাইটিংগেল মোড়, বিজয়নগর, গুলিস্তান জিরো পয়েন্ট ঘুরে পল্টন মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।

‘নুরুল হক নুরকে হত্যা চেষ্টার উদ্দেশ্যে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার, ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লাসহ আটক সকল রাজবন্দীদের মুক্তি ও যুগপৎ আন্দোলনের এক দফা দাবিতে’ এ বিক্ষোভ সমাবেশ ও গণমিছিল অনুষ্ঠিত হয়।

নুর বলেন, আওয়ামী লীগ মুখে অসাম্প্রদায়িকতার কথা বললেও অবৈধভাবে ক্ষমতায় থাকতে এখন ভারতের সাম্প্রদায়িক দল বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়েছে। কিছুদিন আগে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দল ভারতে গেছে। ক্ষমতায় থাকতে ভারতের সাম্প্রদায়িক দল বিজেপির সঙ্গে চুক্তি করেছে, তারা যেন আওয়ামী লীগকে আবার ক্ষমতায় আনে। তাই এদের হাতে এখন আর দেশ, জনগণ ও দেশের মানুষের ধর্ম-কর্ম নিরাপদ নয়।

তিনি বলেন, সরকার দুটি কারণে আমার ওপর ক্ষুব্ধ। এক. প্রতিনিয়ত এই সরকারের অন্যায়- অবিচার, দুর্নীতি ও দুঃশাসন নিয়ে রাজপথে সোচ্চার থাকায়। দুই. এই সরকারের ফাদার-মাদার, যারা এই সরকারকে ক্ষমতায় এনে টিকিয়ে রেখেছে, সেই ভারতীয় আগ্রাসন ও আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে কথা বলায়। এসব কারণে বার বার আমার ও আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করে। আমাদের ছাত্র, যুব ও শ্রমিকসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দের প্রতি নজরদারি এবং হুমকি-ধামকি দিচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, অনতিবিলম্বে ছাত্র নেতা বিন ইয়ামিন মোল্লা, গোপালগঞ্জের ছাত্র নেতা ঈসমাইলসহ সকল রাজবন্দীদের মুক্তি ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।

পাশাপাশি অনতিবিলম্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি মেনে নিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

গণঅধিকার পরিষদের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সোহরাব হোসেন ও সাবেক যুগ্ম সদস্য সচিব মশিউর রহমানের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রাশেদ খান, উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফ, শাকিল উজ্জামান, হানিফ খান সজিব, শহিদুল ইসলাম ফাহিম, ফাতেমা তাসনিম, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক বিপ্লব কুমার পোদ্দার, মাহফুজুর রহমান, সাবেক সহকারী আহ্বায়ক বায়জিদ শাহেদ, সাবেক যুগ্ম সদস্য সচিব জিলু খান, সাবেক সহকারী সদস্য সচিব আনিসুর রহমান মুন্না, সাবেক সদস্য তোফাজ্জল হোসেন, ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আদিব, যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মনজুর মোর্শেদ, সাধারণ সম্পাদক নাদিম হাসান, শ্রমিক অধিকার পরিষদের সভাপতি আব্দুর রহমান প্রমুখ।