সরকার পালানোর পথও পাবে না: বিএনপি মহাসচিব

সরকার পালানোর পথও পাবে না: বিএনপি মহাসচিব

এক দফার চলমান আন্দোলনে সব বিরোধী রাজনৈতিক দলকে রাজপথে নেমে আসার ডাক দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, কে বড় দল, ছোট দল, মাঝারি দল- এটা বড় কথা নয়। আজ দেশ, জাতি ও জনগণ বিপদগ্রস্ত, বিপন্ন। তাদের অস্তিত্ব রক্ষা করা প্রত্যেকের দায়িত্ব। সেই দায়িত্ব নিয়ে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। সেখান থেকে উচ্চারণ করতে হবে- আর নয়, তুমি যাও। এনাফ ইজ এনাফ। এখন জনগণের একটা রাষ্ট্রব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। অন্যথায় সরকার পালানোর পথও খুঁজে পাবে না।

মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে গণসংহতি আন্দোলনের ২১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ‘গণতন্ত্রের সংগ্রাম ও নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের ৩১ দফা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।

জাতীয় পার্টির (জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, এই সরকারের পতন অবশ্যই হবে। পতন ঘণ্টা বেজে গেছে। 

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, এখন মুক্তিকামী জনতার সময়। আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক যুদ্ধে হেরে গেছে। 

সভাপতির বক্তব্যে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ সরকার রাষ্ট্রকে দলীয় প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছে। এর মধ্য দিয়ে রাষ্ট্র, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব তারা হুমকির মধ্যে ফেলে দিয়েছে। 

সভায় আরও বক্তব্য দেন কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণফোরাম একাংশের সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চৌধুরী এবং ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু।

এর আগে সরকারদলীয় নেতাকর্মীর হামলায় আহত বিএনপি নেতাকর্মীকে দেখতে গিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের কাছে গণতন্ত্র ও রাষ্ট্র একেবারেই নিরাপদ নয়।

এ সময় মহাসচিবের সঙ্গে ছিলেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মনিরুল হক চৌধুরী, ড্যাবের ডা. সিরাজুল ইসলাম, ডা. সরকার মাহবুব আহমেদ শামীম প্রমুখ।