আ’লীগের একটা ইতিহাস, তারা গণতন্ত্র বিশ্বাস করে না : মির্জা আলমগীর

আ’লীগের একটা ইতিহাস, তারা গণতন্ত্র বিশ্বাস করে না : মির্জা আলমগীর

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগের একটা ইতিহাস তারা গণতন্ত্র বিশ্বাস করে না। এটা বললে তাদের গা জ্বালা করে।

আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক আলোচনায় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

"নব্বইয়ে'র গণঅভ্যুত্থানও কিছু কথা" বইয়ের মোড়ক উন্মোচন উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এখানে নব্বইয়ের ডাকসু ও সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্য নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাবেক প্রো-ভিসি আ ফ ম ইউসুফ হায়দার।

মির্জা ফখরুল বলেন, নির্বাচন তো আমরা চাই, আমরা তো বিশ্বাস করি নির্বাচন ছাড়া কোনো পরিবর্তন, কোনো উপায় নেই। এটা বিশ্বাস করে যারা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী। নির্বাচনটা যদি দলীয় সরকারের অধীনে হয়, পূর্ব অভিজ্ঞতায় দেখেছি, কোনো দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু হয় না। যদি সেটা আবার আওয়ামী লীগের অধীনে হয়। তা তো কখনোই সুষ্ঠু হবে না।

তিনি বলেন, ৭১ ও ৯০-এ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠাতার জন্য জীবন দিতে হয়েছে। কিন্তু ৫২ বছর পর আজ সেই কথা বলতে হচ্ছে। দেখতে হচ্ছে, দেশ থেকে গণতন্ত্র সম্পূর্ণভাবে বিলীন করে দেয়া হয়েছে।

‘আজ প্রতিদিন বিএনপির হাজার হাজার নেতাকর্মী কোর্টের বারান্দায়, এটি কোনো গণতান্ত্রিক দেশে হতে পারে না।’

দেশের বুদ্ধিজীবী ও সম্পাদকদের কোর্টের বারান্দায় গিয়ে দেখার আহ্বান করে মির্জা ফখরুল বলেন, গিয়ে দেখুন, কিভাবে নেতাকর্মীরা হাজিরা দেয়, কত সাধারণ মানুষ ও নেতাকর্মীরা যাচ্ছে। বলেন তো গণতন্ত্র আছে! এমন বিচার ব্যাবস্থা, যদি হাইকোর্টে জামিন দেয়, সেটা আবার নিম্ন কোর্টে আটকে দেয়।

তিনি আশঙ্কা করেন, আমার ধরণা, এক দেড় মাসের মধ্যেই আমানের মতো আমাকেও কারাগারে যেতে হতে পারে। কারণ যারা সরকারকে বলছে, তুমি চলে যাও, ছেড়ে দাও ক্ষমতা। সরকার তাদের সাজা প্রদানের ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগের একটা ইতিহাস, তারা গণতন্ত্র বিশ্বাস করে না। এটা বললে তাদের গা জ্বালা করে। তারা কি অস্বীকার করতে পারবে, তারা এ কাজটি করেনি। ১৯৭৫ সালে তো তার বাকশাল কায়েম করেছিল গণতন্ত্রকে হত্যা করে।