ইউরেনিয়াম মাথায় ঢেলে ঠান্ডা করে দেব: বিএনপি নেতাদের উদ্দেশ্যে কাদের

ইউরেনিয়াম মাথায় ঢেলে ঠান্ডা করে দেব: বিএনপি নেতাদের উদ্দেশ্যে কাদের

এবার বিএনপির নেতাদের মাথায় পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জ্বালানি ইউরেনিয়াম ঢেলে ঠান্ডা করার কথা বললেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বিএনপির কয়েকজন নেতার নাম উল্লেখ করে বলেন, ‘যে লাফাবে, মাথায় ইউরেনিয়াম ঢেলে ঠান্ডা করে দেব। ডান্ডা মেরে ঠান্ডা করব না, ইউরেনিয়াম মাথায় ঢেলে ঠান্ডা করে দেব।’

রাজধানীর গাবতলীতে সোমবার এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ এ সমাবেশের আয়োজন করে। সড়কের মাঝখানে মঞ্চ তৈরি করে এ সমাবেশ হয়। ঢাকা-নবীনগর মহাসড়কের এক পাশে পুরোপুরি যান চলাচল বন্ধ ছিল। অন্য পাশ দিয়ে যানবাহন চলাচল করেছে।

বিএনপির নেতাদের আন্দোলন কর্মসূচির হুমকি সম্পর্কে বলতে গিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘ইউরেনিয়ামের দুইটা চালান এসে গেছে। পুতিন (রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট) প্রধানমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করেছেন। বাংলাদেশে সাংঘাতিক আলোঝলমলে পরিবেশ হবে। এতে ফখরুলের অন্তর্জ্বালা, মঈনুদ্দিন খানের (মঈন খান) অন্তর্জ্বালা। রূপপুর বন্ধ করে দেবে বলেছে, কে বলেছে? আমরা বলছি রূপপুর যারা বন্ধ করতে চায়, সে ফখরুল, মঈন খানের মাথায় রাশিয়ার ইউরেনিয়াম ঢেলে দেব। সেটা আমরা কিছু ফখরুলের মাথায়, কিছু গয়েশ্বরের মাথায়, কিছু আব্বাসের মাথায়, কিছু মঈন আহমেদের (মঈন খান) মাথায়, কিছু রিজভী পাগলার মাথায়...। যে লাফাবে, মাথায় ইউরেনিয়াম ঢেলে ঠান্ডা করে দেব। ডান্ডা মেরে ঠান্ডা করব না, ইউরেনিয়াম মাথায় ঢেলে ঠান্ডা করে দেব।’

বিএনপির ঢাকা অচল করে দেওয়ার কথা উল্লেখ করে সরকারের সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ফখরুল বলে ঢাকা অচল করে দেবে অক্টোবর মাসে। ঢাকা অচল করতে এলে ঢাকাবাসী বিএনপিকে অচল করে দেবে। অচল করতে এলে নিজেরা অচল হয়ে যাবে।’

বিএনপির উদ্দেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, ‘কবে আসবেন, ডেটটা (তারিখ) দেন না! ডেট দেন, লাফালাফি, নাচানাচি, বাড়াবাড়ি বন্ধ করেন। ভালো হবে না। বেশি লাফালাফি করলে অবস্থা খারাপ হবে। আমরা প্রস্তুত।’
সাম্প্রতিক সভা-সমাবেশে গিয়ে বক্তৃতার কোনো এক পর্যায়ে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার অর্থ বোঝাতে ‘খেলা হবে’ শব্দ বলেছেন ওবায়দুল কাদের। আজ আবারও তিনি বলেন, ‘জানুয়ারিতে ভোট হবে। ডিসেম্বরে সেমিফাইনাল, নভেম্বরে কোয়ার্টার ফাইনাল। ভোট হবে, খেলা হবে। খেলা ছাড়া উপায় নেই বিএনপির সঙ্গে। বিএনপির বিরুদ্ধে, হাওয়া ভবনের বিরুদ্ধে, লুটপাটের বিরুদ্ধে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে, ভোট চোরের বিরুদ্ধে, স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে খেলা হবে। সারা বাংলায়, সারা ঢাকায় খেলা হবে। জোরে জোরে খেলা হবে। ফাউল করলে লাল কার্ড, ফাউল করলে হলুদ কার্ড।’

মঞ্চে থাকা মেয়র আতিকুল ইসলামের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ডেঙ্গু থামছে? মেয়র সাহেব নকল ওষুধ আনিয়েন না, ভালো ওষুধ আনেন। মানুষ অস্থির হয়ে গেছে। আপনি দৌড়াদৌড়ি করেন ভালো। ছোটাছুটি করেন ঠিক আছে। কিন্তু ঠিকমতো মশাকে আঘাত করেন। মানুষ বড় কষ্টে আছে।’

দেশের মানুষের খাওয়ার কষ্ট থাকবে না আশ্বাস দিয়ে সরকারের এই মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাতের ঘুম হারাম মানুষের কথা চিন্তা করে। কীভাবে খাওয়াবেন, কীভাবে পরাবেন? জিনিসপত্রের দাম বেশি। কিন্তু একটা মানুষও না খেয়ে মরেছে? শেখ হাসিনা মানুষের জন্য আছেন। কাউকে না খেয়ে মরতে দেবেন না। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার মূল চিন্তা ‘আমি খাব না তবু মানুষকে খাওয়াব’। মানুষ বাঁচলে বাংলাদেশ বাঁচবে, আওয়ামী লীগ, মুক্তিযুদ্ধ বাঁচবে।