আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির সঙ্গে কোনো আপস করবে না আওয়ামী লীগ। ৩৬ দিনের আল্টিমেটাম শেষে দেখা যাবে, কার গায়ে কত বল। কে কাকে অচল করে দেবে। নারায়ণগঞ্জের এই জনতাই যথেষ্ট বিএনপিকে অচল করে দিতে। জানুয়ারিতে ফাইনাল খেলা হবে।
শুক্রবার বিকালে নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুরে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।
‘বিভিন্ন দেশে ঘোরাঘুরি করে কোনো লাভ নেই’ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের এমন মন্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিদেশে যাচ্ছেন দেশের প্রয়োজনে জনগণের স্বার্থে। আজকের সংকটকে সম্ভাবনায় রূপ দিতে। বরং ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য বিএনপিই ঘোরাফেরা করছে।
সেতুমন্ত্রী বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তত্ত্বাবধায়কের কথা বলে না, শেখ হাসিনার পদত্যাগ, সংসদের বিলুপ্তি, স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগ চায় না।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, কিসের ওপর ভর করে ঘোরাফেরা করছে বিএনপি? মির্জা ফখরুলের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। বিএনপি গণতন্ত্র জানে না, জানে স্বৈরতন্ত্র। এই বিএনপি থেকে সাবধান।
তিনি বলেন, বিএনপি বলে সরকারের সময় নাকি শেষ। আজরাইল নাকি শেখ হাসিনার মাথার ওপর ঘুরছে, আওয়ামী লীগের জান কবজ করতে।
‘ফখরুল সাহেব, বিএনপির সময় শেষ। আজরাইল বিএনপি নেতাদের গলা টিপে ধরবে। কী মিথ্যাবাদী এই বিএনপি! মিথ্যাচার ও গুজব এটাই বিএনপির রাজনীতি।’
মন্ত্রী বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার মরে ভূত হয়ে গেছে। এ ভূত মাথা থেকে নামান। নতুবা এ ভূতে বিএনপি শুদ্ধ খাবে।
দেশের কল্যাণে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে আগামী জাতীয় নির্বাচনে নৌকায় ভোট চান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। বলেন, শেখ হাসিনা যা দিয়েছেন ভোটের মাধ্যমে তার প্রতিদান দিন। তাকে ভোট দিলে সামনের দিনগুলোতে আরও পাবেন।
নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাইয়ের সভাপতিত্বে শান্তি সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, সংসদ সদস্য শামীম ওসমান, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, যুব লীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল, নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত মো. শহিদ সহ জেলা ও নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের নেতারা।
