সমাবেশে আ'লীগ-পুলিশের হামলার পর এবার জেলে পাঠানো হল বিএনপি মহাসচিবকে

সমাবেশে আ'লীগ-পুলিশের হামলার পর এবার জেলে পাঠানো হল বিএনপি মহাসচিবকে

বিএনপির শান্তিপূর্ণ মহাসমাবেশে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ এবং পুলিশের হামলার পরদিন আটকের পর জামিনের কোনো সুযোগ না দিয়ে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

রবিবার রাত ১০টার দিকে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রশিদুল আলম এই আদেশ দেন।

রবিবার রাতে তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক হুমায়ন কবীর খান।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের আইনজীবীরা তার জামিন চেয়ে শুনানি করেন। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে জামিনের বিরোধিতা করা হয়। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিন জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এর আগে, সকালে রাজধানীর গুলশান-২-এর বাসা থেকে মির্জা ফখরুলকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। পরে তাকে ডিবির মিন্টো রোডের কার্যালয়ে নেওয়া হয়। রাতে ডিবির গাড়িতে করে  মির্জা ফখরুলকে আদালতে আনা হয়।  

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে আটকের পর গ্রেপ্তার দেখিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।বিএনপির মহাসমাবেশ চলাকালে পুলিশ সদস্যকে হত্যা এবং গাড়ি পোড়ানোর ঘটনায় পল্টন থানায় দায়ের করা মামলায় মির্জা ফখরুলকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

আটক দেখানোর পর আজ রাতেই মির্জা ফখরুলকে আদালতে নেওয়া হয়। রাত ৭টা ৪২ মিনিটে রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয় থেকে তাকে নিয়ে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের উদ্দেশে রওনা হয় পুলিশ।

এর আগে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মির্জা ফখরুলের স্ত্রী রাহাত আরা বেগম সাংবাদিকদের জানান, পুলিশের সদস্যরা গিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলামসহ বাসার সবার সঙ্গে কথা বলেন। এরপর ক্লোজড সার্কিট (সিসিটিভি) ক্যামেরার ফুটেজ (চিত্র) ও হার্ডডিস্ক নিয়ে চলে যান। এর ঠিক ১০ মিনিট পর আবার ফিরে এসে মির্জা ফখরুলকে নিয়ে যান পুলিশ সদস্যরা।

পরে বেলা ১১টার দিকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগ থেকে জানানো হয়, মির্জা ফখরুলকে গ্রেপ্তার দেখানো হবে।